হাওড়া স্টেশনে নেই কেন ১৬ নম্বর প্ল্যাটফর্ম!

সিদ্ধার্থ সিংহ
সিদ্ধার্থ সিংহ
2 মিনিটে পড়ুন

আমাদের রাজ্যের অন্যতম ব্যস্ত রেল স্টেশন হল হাওড়া স্টেশন। শুধু কলকাতা বা পশ্চিমবঙ্গেই নয়, গোটা দেশের মধ্যেই এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ রেল স্টেশন। এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়ার জন্য প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ এই স্টেশনে আসেন। কারণ, হাওড়া স্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাওয়ার ট্রেন ছাড়ে।

এই স্টেশনটি আমাদের কাছে খুব চেনা হলেও, এই স্টেশন ঘিরে রয়েছে নানান রকম অবাক করা ইতিহাস। যেগুলি অনেকের কাছেই অজানা। যেমন, এই স্টেশনটি অত্যন্ত বড় হওয়ায় এখানে প্ল্যাটফর্ম সংখ্যাও অনেক। ১ থেকে ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম রয়েছে ওল্ড কমপ্লেক্সে।

পাশাপাশি ১৭ থেকে ২৩ নম্বর প্ল্যাটফর্ম রয়েছে নিউ কমপ্লেক্সে। অর্থাৎ, ১৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মটি নেই। কেন নেই? এর পিছনে রয়েছে একটি ইতিহাস। আসলে ১৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মটির জায়গায় রয়েছে পণ্য পরিবহণের একটি ডেডিকেটেড লাইন। যেটাকে ‘জিরো মাইল’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

জানা গেছে, ১৮৫৪ সালের ১৫ আগস্টে এই ‘জিরো মাইল’ থেকেই বাংলার প্রথম ট্রেন পাড়ি দিয়েছিল হুগলির উদ্দেশ্যে। ঠিক ছিল, সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ ওই ট্রেন হাওড়া থেকে ছেড়ে হুগলি পৌঁছবে এবং দুপুর একটার মধ্যে ট্রেনটি হাওড়ায় ফিরে আসবে।

যদিও, প্রথম সফরে ওই ট্রেনটি প্রায় দু’ঘণ্টা লেট করেছিল। শুধু তাই নয়, জীবনে প্রথম একটা স্টিম ইঞ্জিনকে ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে মাঠঘাট পেরিয়ে ছুটতে দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন সবাই। পাশাপাশি বহু লোক ওই ট্রেনটাকে ‘আগুনের রথ’ নামেও ডাকতে শুরু করেছিলেন।

IMG 3297 হাওড়া স্টেশনে নেই কেন ১৬ নম্বর প্ল্যাটফর্ম!
হাওড়া স্টেশনে নেই কেন ১৬ নম্বর প্ল্যাটফর্ম! 39

সেই ‘রথ’-এ চেপেই এক শিক্ষিত বাঙালি ভদ্রলোক দাবি করেছিলেন, এই ভাবে ছ’দিনের পথকে মাত্র ৬ ঘণ্টায় অতিক্রম করলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এইভাবে যাতায়াত করে যেটুকু সময় মানুষ বাঁচাচ্ছেন, সেটুকু সময় তাঁদের আয়ু থেকে নিশ্চয়ই বাদ হয়ে যাবে।

যেহেতু ১৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মটি সাধারণ যাত্রীদের জন্য নয়, শুধুমাত্র পণ্য পরিবহন করা হয়, তাই লাইন পাতা থাকলেও, ১৬ নম্বর প্ল্যাটফর্ম কিন্তু হাওড়া স্টেশনে নেই।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
২০২০ সালে 'সাহিত্য সম্রাট' উপাধিতে সম্মানিত এবং ২০১২ সালে 'বঙ্গ শিরোমণি' সম্মানে ভূষিত সিদ্ধার্থ সিংহের জন্ম কলকাতায়। আনন্দবাজার পত্রিকার পশ্চিমবঙ্গ শিশু সাহিত্য সংসদ পুরস্কার, স্বর্ণকলম পুরস্কার, সময়ের শব্দ আন্তরিক কলম, শান্তিরত্ন পুরস্কার, কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত পুরস্কার, কাঞ্চন সাহিত্য পুরস্কার, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা লোক সাহিত্য পুরস্কার, প্রসাদ পুরস্কার, সামসুল হক পুরস্কার, সুচিত্রা ভট্টাচার্য স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার, অণু সাহিত্য পুরস্কার, কাস্তেকবি দিনেশ দাস স্মৃতি পুরস্কার, শিলালিপি সাহিত্য পুরস্কার, চেখ সাহিত্য পুরস্কার, মায়া সেন স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার ছাড়াও ছোট-বড় অজস্র পুরস্কার ও সম্মাননা। পেয়েছেন ১৪০৬ সালের 'শ্রেষ্ঠ কবি' এবং ১৪১৮ সালের 'শ্রেষ্ঠ গল্পকার'-এর শিরোপা সহ অসংখ্য পুরস্কার। এছাড়াও আনন্দ পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত তাঁর 'পঞ্চাশটি গল্প' গ্রন্থটির জন্য তাঁর নাম সম্প্রতি 'সৃজনী ভারত সাহিত্য পুরস্কার' প্রাপক হিসেবে ঘোষিত হয়েছে।
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!