তাঁর বানানো টিফিন রোজ এক ভিখারিকে খাওয়াতেন স্বামী, সেটা জানতে পেরে সেই ভিখারিকেই বিয়ে করে নিলেন স্ত্রী

সিদ্ধার্থ সিংহ
সিদ্ধার্থ সিংহ
2 মিনিটে পড়ুন

স্ত্রী রোজ তাঁর স্বামীকে অফিসে নিয়ে যাওয়ার জন্য টিফিন বানিয়ে দিতেন। স্বামী সেই টিফিন নিয়েও যেতেন এবং সেই টিফিন কৌটো রোজ খালি করেই নিয়ে আসতেন।

স্ত্রী মাঝে মাঝেই এমন খাবার বানাতেন যে তিনি নিজেও সেটা মুখে বলতে পারতেন না। অথচ স্বামী কখনও কোনও দিনও সেই খাবার নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করতেন না। তাই স্ত্রী-র একটু সন্দেহ হয়, স্বামীকে যাই অখাদ্য-কুখাদ্য বানিয়ে দিই না কেন, বাড়িতে ফিরে এসে তিনি কোনও অভিযোগ করেন না কেন!

যাতে তিতিবিরক্ত হয়ে উনি কিছু বলেন, সে জন্য এর পর থেকে তিনি খাবারে কোনও দিন লবণ বেশি দিয়ে দিতেন, কোনও দিন প্রচন্ড ঝাল, আবার কোনও দিন এমন ভাবে রান্না করতেন যে, তাতে কোনও স্বাদই হত না। তবুও স্বামী নিশ্চুপ।

তাই অফিসে যাওয়ার জন্য স্বামী বাড়ি থেকে বেরোতেই তিনি একদিন তাঁর পিছু নিলেন। এবং দেখলেন, অফিসে খাবার নাম করে নিয়ে এলেও, তাঁর স্বামী অফিসের ঢোকার আগেই একটি মন্দিরের সামনে বসে থাকা এক ভিখারিকে পাত্রে টিফিন কৌটো উপুড় করে সব খাবার ঢেলে দিলেন।

স্বামী চলে যেতেই ওই ভিখারিটির কাছে গিয়ে স্ত্রী জানতে পারলেন, এই লোকটা নাকি অফিস যাবার পথে রোজই তাঁকে এই ভাবে খাবার দিয়ে যান।

কথা বলতে বলতে আচমকাই ভিখারিটি এই মহিলাটিকে চিনতে পেরে যান। জিজ্ঞেস করেন, কেমন আছ?
— মানে? আপনি কে? ভিখারিটি কোনও উত্তর না দিয়ে তাঁকে ছোটবেলার দু’-তিনটে শায়েরি শোনান। আর সেই শায়েরি শুনেই মহিলাটি চিনতে পেরে যান এই ভিখারিটিকে। বুঝতে পারেন, ওড়িশার জবলপুরে বিচ্ছেদ হয়ে‌ যাওয়া এই-ই তাঁর সেই পুরনো প্রেমিক— প্রকাশ।

ছোটবেলায় তাঁরা একে অপরকে পাগলের মতো ভালবাসতেন। কিন্তু হঠাৎ করেই তাঁর বিয়ে হয়ে যায়। আর সে জন্যই এর এখন এই দুরবস্থা।

এর ঠিক দু’দিন পরেই এই মহিলাটি তাঁর স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে, ভরা সংসার এবং নিশ্চিন্ত জীবন ছেড়ে এক কাপড়ে ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। বিয়ে করেন ওই ভিখারিকে। এখন তাঁরা দু’জনে মিলে মন্দিরের বাইরে বসে একসঙ্গে ভিক্ষা করেন।
এই খবর চাউর হয়ে যাওয়ার পরে শুধু মন্দির নয়, মন্দিরে ঢোকার মুখেই লোকজনের কাছে আরও একটি দর্শনীয় দৃশ্য হয়ে উঠেছে এই জুটি।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
২০২০ সালে 'সাহিত্য সম্রাট' উপাধিতে সম্মানিত এবং ২০১২ সালে 'বঙ্গ শিরোমণি' সম্মানে ভূষিত সিদ্ধার্থ সিংহের জন্ম কলকাতায়। আনন্দবাজার পত্রিকার পশ্চিমবঙ্গ শিশু সাহিত্য সংসদ পুরস্কার, স্বর্ণকলম পুরস্কার, সময়ের শব্দ আন্তরিক কলম, শান্তিরত্ন পুরস্কার, কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত পুরস্কার, কাঞ্চন সাহিত্য পুরস্কার, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা লোক সাহিত্য পুরস্কার, প্রসাদ পুরস্কার, সামসুল হক পুরস্কার, সুচিত্রা ভট্টাচার্য স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার, অণু সাহিত্য পুরস্কার, কাস্তেকবি দিনেশ দাস স্মৃতি পুরস্কার, শিলালিপি সাহিত্য পুরস্কার, চেখ সাহিত্য পুরস্কার, মায়া সেন স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার ছাড়াও ছোট-বড় অজস্র পুরস্কার ও সম্মাননা। পেয়েছেন ১৪০৬ সালের 'শ্রেষ্ঠ কবি' এবং ১৪১৮ সালের 'শ্রেষ্ঠ গল্পকার'-এর শিরোপা সহ অসংখ্য পুরস্কার। এছাড়াও আনন্দ পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত তাঁর 'পঞ্চাশটি গল্প' গ্রন্থটির জন্য তাঁর নাম সম্প্রতি 'সৃজনী ভারত সাহিত্য পুরস্কার' প্রাপক হিসেবে ঘোষিত হয়েছে।
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!