সংবাদ বিভাগে প্রকাশিতব্য নিবন্ধের ক্ষেত্রে
১. শুধুমাত্র গুরুত্বপূর্ন সংবাদ গুলো সংবাদ বিভাগে প্রকাশিত হবে।
স্থানীয় সংবাদ, কম গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ সংবাদ বিভাগে প্রকাশিত হবে না। (সংবাদের ঘটনাটি যদি কম গুরুত্বপূর্ণ হয় তাহলে তা সংবাদ বিভাগের পরিবর্তে সাম্প্রতিক বিভাগে প্রকাশ করা যেতে পারে, এবং যে বিভাগের ঘটনা সেই বিভাগের অধীনে প্রকাশিত হবে।)
ক. প্রথমে নিজেকে প্রশ্ন করুন। এই সংবাদের ভিত্তি কি, এর স্থান, কাল কোথায়? এই সংবাদের পাত্রগুলো কোন দেশি? উত্তর যদি বাংলাদেশ হয়, তাহলে এটি বাংলাদেশ বিভাগে প্রকাশিত হবে।
খ. প্রথমে নিজেকে প্রশ্ন করুন। এই সংবাদের ভিত্তি কি, এর স্থান, কাল কোথায়? এই সংবাদের পাত্রগুলো কোন দেশি? উত্তর যদি পশ্চিমবঙ্গ হয়, তাহলে পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচন করতে হবে।
গ. প্রথমে নিজেকে প্রশ্ন করুন। এই সংবাদের ভিত্তি কি, এর স্থান, কাল কোথায়? এই সংবাদের পাত্রগুলো কোন দেশি? উত্তর যদি আসে এটি বাংলাদেশের নয়, পশ্চিমবঙ্গেরও নয়, তাহলে এটি আন্তর্জাতিক বিভাগে প্রকাশিত হবে।
ঘ. সংবাদের বিষয় বস্তু যদি অর্থনৈতিক হয়, তাহলে সেটা অর্থনীতি বিভাগে প্রকাশিত হবে।
২. একটির বেশি বিভাগে একটি সংবাদ প্রকাশ করা যাবে না। (একই সঙ্গে একটি সংবাদ বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, আন্তর্জাতিক বিভাগে দেয়া যাবে না। যে কোন একটি বিভাগ নির্বাচন করতে হবে।
৩. সংবাদে বাংলাদেশ বিষয়ক বা যে কোন বিষয়ক সংবাদ শিরোনামে বক্তব্যের শেষে বক্তার পরিচয় হিসেবে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ইত্যাদি পদমর্যাদা বক্তার নাম হিসেবে বা নামের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।
কারণ:
ক. এই রূপ শিরোনামে পাঠকের বিভ্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পাঠককে বিভ্রান্ত করা সাময়িকীর লক্ষ্য নয়। সাময়িকীর একমাত্র লক্ষ্য বস্তুনিষ্ঠ এবং সঠিক তথ্য সঠিকভাবে উপস্থাপন করা।
খ. যিনি বাংলাদেশের মন্ত্রী, তিনি সাময়িকীর মন্ত্রী নন বা সাময়িকী যে দেশ থেকে পরিচালিত হয় তিনি সে দেশেরও মন্ত্রী নন এবং তিনি যে সাময়িকীর সব পাঠকেদেরও মন্ত্রী আমরা তা নিশ্চিত বলতে পারি না। (এইরূপ সংবাদ শিরোনাম বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত সংবাদ মাধ্যমের ক্ষেত্রে ঠিক হতে পারে, কিন্তু সাময়িকীর ক্ষেত্রে ঠিক নয়।)
গ. সাময়িকী একটি আন্তর্জাতিক পত্রিকা, কোন বিশেষ দেশের স্থানীয় পত্রিকা নয়।
৪. হুবহু কপিপেস্ট করে কোন সংবাদের শিরোনাম এবং সংবাদের বিষয় বস্তু প্রকাশ করা যাবে না। এই কারণে সাময়িকী কপিপেস্ট বা ডুপ্লিকেট কটেন্ট প্রকাশকারী হিসেবে গুগল নিউজে ব্যান খেয়েছে। তাই গুগল তাদের নিউজ সেকশনে সাময়িকীর কোন সংবাদ দেখায় না।
৫. সংবাদে “আমি, আমার, তুমি, তোমার, আপনি, আপনার, বা কোন রকম সম্বোধন থাকবে না। বা কারোর ব্যক্তিগত সুখ দুঃখ, অভিবাদন, সম্বোধন, ব্যক্তিগত শোক বা শুভেচ্ছা বার্তা বা লেখকের ব্যক্তিগত অভিমত প্রকাশ করা যাবে না। (যদি থাকে তাহলে সেটা সংবাদ বিভাগের পরিবর্তে বাকস্বাধীনতা বিভাগে প্রকাশ করা যেতে পারে।)
৬. সংবাদ নিবন্ধটি উপস্থাপিত হতে হবে তৃতীয় এবং নিরপেক্ষ ব্যক্তির দৃষ্টিকোণ থেকে। “সংবাদ” বিভাগে আমরা শুধুমাত্র সেগুলোই প্রকাশ করবো, যা নিরপেক্ষ ভাবে কোন ঘঠিত ঘটনার বর্ণনা প্রকাশ করে।
৭. সংবাদের শেষে সংবাদের উৎস উল্লেখ করতে হবে, ছবি কোন উৎস থেকে প্রাপ্ত তা উল্লেখ করতে হবে।
কম গুরুত্বপূর্ন সংবাদ বা স্থানীয় সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে
কম গুরুত্বপূর্ন সংবাদ বা স্থানীয় সংবাদ কখনোই মূল সংবাদ বিভাগের অধিনে প্রকাশিত হবে না। কম গুরুত্বপূর্ন সংবাদ বা স্থানীয় সংবাদ সাম্প্রতিকের অধিনে যে সকল উপ বিভাগ রয়েছে তার নির্দিষ্ট বিভাগে প্রকাশিত হবে।
সংবাদ সম্পাদনায় দ্বায়িত্বশীলতা, নিরপেক্ষতা এবং নৈতিকতার চর্চা
ক. সাময়িকীর সংবাদ কোন বিশেষ ধর্ম বর্ণ বা সম্প্রদায়ের পক্ষে বা বিপক্ষে নয়, ১০০% নির্দলীয় নিরপেক্ষ।
খ. ধর্ষিতা এবং মৃতদেহের ছবি প্রকাশ করা যাবে না, প্রকাশের আবশ্যকতা দেখা দিলে ব্লার করে প্রকাশ করতে হবে। ধর্ষিতার সামাজিক নিরাপত্তার স্বার্থে পূর্ণ ঠিকানা প্রকাশ করা যাবে না।
গ. অপরাধ ঘটিত সংবাদে সন্দেহভাজন ব্যক্তির ছবি ব্লার করে প্রকাশ করতে হবে। তবে আদালতে প্রমানিত অপরাধীর ছবি ব্লার করার আবশ্যকতা নাই।
ঘ. সংবাদে কোন নামের পূর্বে মাননীয়, বিশিষ্ট, সম্মানিত, স্যার, স্বর্গীয়, মহামানব, জনাব এবং নামের শেষে (সাঃ), (রহঃ) শব্দ সমূহ যোগ করা যাবে না।
এবং একই সাথে আমাদের নরওয়েজিয়ান প্রেসের নৈতিকতার কোড-এর প্রতিটি ধারা আমাদের অনুসরণ করতে হবে।
সাহিত্য বিভাগের শিরোনাম
৮. সাহিত্য বিভাগের লেখায় একই শিরোনাম হুবহু বারবার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। ধারাবাহিক লেখা হলে, শিরোনামের শেষে ভ্রান্তি পরিষ্কার করতে শিরোনামের সাথে পর্ব শব্দটি এবং নম্বর অথবা বিষয় উল্লেখ করুন।
৯. প্রকাশিতব্য রচনাটি যদি বিখ্যাত কারোর হয় তাহলে শিরোনাম নিম্নরুপ হবে-
- ক. প্রেম বিষয়ক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা
অথবা,
- খ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেম বিষয়ক কবিতা
অথবা,
- গ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেমের কবিতা
অথবা,
- ঘ. প্রেমের কবিতা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১০. বিখ্যাত কোন লেখকের ধারাবাহিক রচনা বা উপন্যাস সাময়িকীর নিজস্ব প্রফাইল থেকে প্রকাশের ক্ষেত্রে শিরোনাম নিমেনরূপ হবে-
- ক. শেষের কবিতা প্রথম পর্ব, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ধারাবাহিক উপন্যাস
- খ. শেষের কবিতা দ্বিতীয় পর্ব, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ধারাবাহিক উপন্যাস
- গ. শেষের কবিতা তৃতীয় পর্ব, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ধারাবাহিক উপন্যাস
- ঘ. শেষের কবিতা শেষ পর্ব, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ধারাবাহিক উপন্যাস
১১. লেখাটি লেখকের নিজস্ব প্রফাইল থেকে প্রকাশ হলে লেখকের নাম, লেখার শিরোনামে যুক্ত করা যাবে না, তাই শিরোনাম নিম্নরূপ হবে-
- ক. যদু মধু কদু: প্রথম পর্ব
- খ. যদু মধু কদু: দ্বিতীয় পর্ব
- গ. যদু মধু কদু: তৃতীয় পর্ব
- ঘ. যদু মধু কদু: শেষ পর্ব