কীভাবে এলো ৭ দিনের নাম?

সাময়িকী আর্কাইভ
সাময়িকী আর্কাইভ
4 মিনিটে পড়ুন

কীভাবে এলো ৭ দিনের নাম

সাত দিন নিয়ে এক সপ্তাহ। এই দিনগুলোর নাম তোমাদের সবারই ঠোঁটস্থ। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছো- ৭ দিনের নামের উৎপত্তি কীভাবে এলো? এই নামগুলোর উৎপত্তির পেছনে জড়িয়ে আছে অনেক ইতিহাস। চলো আজ জেনে এই ৭ দিনের নামকরণের ইতিহাস।


শনিবার: রোমান সাম্রাজ্যের বাসিন্দারা বিশ্বাস করত যে, চাষাবাদের জন্য ‘স্যাটান’ নামের একজন দেবতা আছেন।  যার মর্জির ওপর নির্ভর করে আবহাওয়া ভালো বা খারাপ থাকা।  তাই তাকে সম্মান করার জন্যই তার নামে একটি গ্রহের সঙ্গে সপ্তাহের একটি দিনের নাম ‘স্যাটনি ডেইজ’ রাখা হয়েছে।  যার অর্থ হচ্ছে স্যাটানের দিন।  বর্তমানে তা ‘স্যাটারডে’ নামেই পরিচিত।

রবিবার: দক্ষিণ ইউরোপের সাধারণ লোকেরা বিশ্বাস করত এবং ভাবত যে, একজন দেবতা রয়েছেন যিনি শুধুমাত্র আকাশে গোলাকার আলোর বল অঙ্কন করেন।  ল্যাটিন ভাষায় যাকে বলা হয় ‘সলিছ’।  এর থেকেই সলিছ ডে অর্থাৎ সূর্যের দিন।  উত্তর ইউরোপের লোকেরা এই দেবতাকে ডাকত ‘স্যানেল ডেইজ’ নামে। যা পরবর্তী সময়ে সান ডেতে রূপান্তরিত হয়।

সোমবার: প্রাচীনকালে দক্ষিণ ইউরোপের লোকেরা রাতের আকাশে রুপালি বল দেখে এর নাম দেয় লুনা (চাঁদ) এবং এর প্রতিশব্দ লুনা ডেইস থেকে তারা সপ্তাহের একটি দিনের নামকরণ করে।  আর উত্তর ইউরোপের লোকেরা ডাকত মোনান ডেজ।  ধীরে ধীরে সেই মোনান ডেজ মানডেতে রূপ নেয়।

মঙ্গলবার: রোমান সাম্রাজ্যের লোকেরা বিশ্বাস করত যে, টিউ নামক একজন দেবতা আছেন যিনি যুদ্ধ দেখাশুনা করেন।  তারা ভাবত, যারা দেবতা টিউকে স্মরণ করত টিউ তাদের যুদ্ধের ময়দানে সাহায্য-সহযোগিতা করতেন।  তাছাড়া যারা যুদ্ধের ময়দানে মারা যেত দেবতা টিউ পাহাড় থেকে নেমে এসে একদল মহিলা কর্মী নিয়ে তাদের বিশ্রামের জন্য সুন্দর জায়গায় নিয়ে যেতেন।  লোকেরা একে বলত- টিউজ ডেইজ, যা বর্তমানে টুইস ডে নামে পরিচিত।

বুধবার: দক্ষিণ ইউরোপের লোকেরা ভাবত- দেবতাদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ‘ওডিন’। তিনি সারা দিন ঘুরে জ্ঞান অর্জন করতেন, যার জন্য তার একটি চোখ হারাতে হয়েছিল। এই হারানো চোখটি তিনি সবসময় লম্বা টুপি দিয়ে ঢেকে রাখতেন। দুটো পাখি ওডিনের গোয়েন্দা হিসেবে কাজ করত, তারা ওডিনের কাঁধে বসে থাকত। রাতে তারা সারা পৃথিবীর ঘটনাবলি ওডিনকে শুনাত। এভাবেই ওডিন সারা পৃথিবীর খবর শুনতে সক্ষম হন। দেবতা ওডিনের প্রতি সম্মান জানিয়ে লোকেরা একটি দিনের নাম রাখল ওয়েডনেস ডেইস। যা বর্তমান ওয়েডনেস ডে নামে পরিচিত।

বৃহস্পতিবার: বজ্রপাত ও বিদ্যুৎ চমকানোর সম্পর্ক না জানায় প্রাচীনকালের মানুষ মনে করত যে, বজ্রপাত ও বিদ্যুৎ চমকানোর জন্য একজন দেবতা দায়ী।  তারা শুধু আলো জ্বলতে ও বিদ্যুৎ চমকাতে দেখত।  তারা সেই দেবতার নাম রাখে থর।  তাদের মধ্যে এই অন্ধ বিশ্বাস ছিল যে, দেবতা থর যখন রাগান্বিত হন তখন তিনি রাগে আকাশে একটা হাতুড়ি নিক্ষেপ করেন দুটি ছাগলের গাড়িতে বসে।  ছাগলের গাড়ির চাকার শব্দ হচ্ছে বজ্রপাত ও হাতুড়ির আঘাত হচ্ছে বিদ্যুৎ চমকানো।  থরের প্রতি সম্মান রক্ষার্থে তারা সপ্তাহের একটি দিনের নাম রাখেন থর্স ডেইস।  যাকে এখন আমরা থার্স ডে বলে ডাকি।

শুক্রবার: শক্তিশালী দেবতা ওডিনের স্ত্রী দেবী ফ্রিগ ছিলেন ভদ্র এবং সুন্দরী।  ওডিনের পাশে সব সময় তার স্ত্রী থাকতেন।  পৃথিবীকে দেখতেন, প্রকৃতিকে উপভোগ করতেন।  প্রকৃতির পাশাপাশি ভালোবাসা ও বিবাহের দেবীও ছিলেন ফ্রিগ।  এই জন্য প্রাচীন লোকেরা বাকি একটি দিনের নাম রাখেন ‘ফ্রিগ ডেইজ’ বা ফ্রাইডে।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!