১০১ বছর বয়সে মা হলেন এক বৃদ্ধা

সিদ্ধার্থ সিংহ
সিদ্ধার্থ সিংহ
3 মিনিটে পড়ুন
ছবি: প্রতীকী ও সংগৃহীত।

গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে ১০১ বছর বয়সে মা হলেন এক বৃদ্ধা। বেশি বয়সে মা হওয়া খুবই ঝুঁকিপুর্ণ। ১০ মাস ১০ দিন একটা প্রাণকে নিজের শরীরে রাখা বেশি বয়সে খুবই বিপজ্জনক। কিন্তু অনেকেই সেই প্রতিকূলতাকে জয় করেও বেশি বয়সে মা হয়েছেন। এত দিন সব চেয়ে বেশি বয়সে মা হওয়ার কৃতিত্ব ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার এক মহিলার। তাঁর নাম মালেগওয়ালে রামোকগোপা। তিনি ৯২ বছর বয়সে নিজের জন্মদিনের ঠিক ৩ দিন পরে তাঁর ২৫ এবং ২৬ তম, মানে একসঙ্গে দুটি সন্তানের জন্ম দেন। এই ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯৩১ সালে।

তার পর কেটে গেছে আরও ৯ দশক। এত দিন কেউ আর ওই বয়সে মা হওয়ার ঝুঁকি নেননি। কিন্তু সেই রেকর্ড ভেঙে ১০১ বছর বয়সে মা হলেন ইতালির এক মহিলা। তিনি আগেই ১৬টি সন্তানের মা ছিলেন। তবুও তিনি এই বয়সে এসে মা হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। সেই ভদ্র মহিলার নাম— আনাতোলিয়া ভার্তাদেলারম। তাঁর মা হওয়ার প্রক্রিয়াটি খুব একটা সহজ ছিল না। তাঁর স্বামী মারা গিয়েছিলেন বেশ কিছু বছর আগেই।

এই বয়সে এসে তাঁর হঠাৎ ইচ্ছা জাগে মা হওয়ার। আর তার পর থেকেই তিনি ইন্টারনেটের সাহায্যে খুঁজে বের করেন এক স্পার্ম ডোনারকে। এবং গর্ভধারণ করার আগেই তাঁর সঙ্গে কোর্ট পেপারে চুক্তিবদ্ধ হন। তিনি যাতে পরবর্তিকালে কোনও সমস্যায় না পড়েন, সে জন্য সেই চুক্তিপত্রে তিনি আগেই জানিয়ে দেন যে, আমি কখনওই তোমাকে আমার স্বামী হিসাবে দাবি করব না। আর আমি আমার সন্তানের বাবা হিসাবেও কখনও তোমাকে দায়িত্ব নিতে বলব না। আমি আমার মৃত স্বামীকেই ভালবাসি।

তার পর সেই ডোনার রাজি হয়ে যান স্পার্ম দিতে। অবশেষে তিনি মা হন। তবে তাঁর এই মা হওয়ার ঘটনাটি খুব একটা ভাল চোখে দেখেননি ইতালিবাসী। মা হওয়ার পরেই বহু সমালোচনার মুখে পড়তে হয় সেই মহিলাকে। কারণ ইউরোপের দেশগুলোতে ডিম্বানু প্রতিস্থাপন একটি আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

তাই তিনি তুরস্কের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে গিয়ে অস্ত্রপ্রচার করিয়েছিলেন। সেই নার্সিংহোমটি ছিল ইউরোপীয় আইনের ধরাছোঁয়ার বাইরে। ফলে সেই বৃদ্ধা মহিলার সামনে মা হওয়ার ব্যাপারে কোনও বাধাই কোনও প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করতে পারেনি।

মা হওয়ার পরে তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন ওই নার্সিংহোমের সমস্ত চিকিৎসক, নার্স, চিকিৎসার সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত সমস্ত কর্মী ছাড়াও, ওই নার্সিংহোমের কর্তৃপক্ষকে। তিনি অবশ্য কাউকেই সেই নার্সিংহোমের নাম জানাননি। তিনি আরও জানিয়েছেন, তিনি এবং তাঁর সন্তান খুব ভাল আছেন।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
২০২০ সালে 'সাহিত্য সম্রাট' উপাধিতে সম্মানিত এবং ২০১২ সালে 'বঙ্গ শিরোমণি' সম্মানে ভূষিত সিদ্ধার্থ সিংহের জন্ম কলকাতায়। আনন্দবাজার পত্রিকার পশ্চিমবঙ্গ শিশু সাহিত্য সংসদ পুরস্কার, স্বর্ণকলম পুরস্কার, সময়ের শব্দ আন্তরিক কলম, শান্তিরত্ন পুরস্কার, কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত পুরস্কার, কাঞ্চন সাহিত্য পুরস্কার, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা লোক সাহিত্য পুরস্কার, প্রসাদ পুরস্কার, সামসুল হক পুরস্কার, সুচিত্রা ভট্টাচার্য স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার, অণু সাহিত্য পুরস্কার, কাস্তেকবি দিনেশ দাস স্মৃতি পুরস্কার, শিলালিপি সাহিত্য পুরস্কার, চেখ সাহিত্য পুরস্কার, মায়া সেন স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার ছাড়াও ছোট-বড় অজস্র পুরস্কার ও সম্মাননা। পেয়েছেন ১৪০৬ সালের 'শ্রেষ্ঠ কবি' এবং ১৪১৮ সালের 'শ্রেষ্ঠ গল্পকার'-এর শিরোপা সহ অসংখ্য পুরস্কার। এছাড়াও আনন্দ পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত তাঁর 'পঞ্চাশটি গল্প' গ্রন্থটির জন্য তাঁর নাম সম্প্রতি 'সৃজনী ভারত সাহিত্য পুরস্কার' প্রাপক হিসেবে ঘোষিত হয়েছে।
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!