বহুল আলোচিত নির্বাচন কমিশন গঠন আইন সংসদে পাস

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
3 মিনিটে পড়ুন

বহুল আলোচিত নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন বিল জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। এর ফলে স্বাধীনতার ৫০ বছর পর নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত আইন পেল জাতি। বৃহস্পতিবার একাদশ জাতীয় সংসদের ষোড়শ অধিবেশনে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২’টি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব আনেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এই আইনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন হবে।

এর আগে অধিবেশনের শুরুতে নিয়ম অনুযায়ী আইনমন্ত্রী বিলটি পাসের জন্য সংসদে প্রস্তাব করেন। পরে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি শুরু করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। জাতীয় পার্টি, বিএনপি, জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টির সংসদ সদস্যরা বিলের ওপর এসব প্রস্তাব দেন।

জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাবগুলো পাসের সময় জাতীয় পার্টি ও বিএনপির সংসদ সদস্যরা সার্চ কমিটিতে সংসদের প্রতিনিধিত্ব দাবি করেন। বিলটির নানা দিকের সমালোচনা করেন তারা।

বিলটি পাসের পর রাষ্ট্রপতির সই করবেন। এরপর গেজেট আকারে প্রকাশ হলেই প্রথমবারের মত প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে আইন পাবে বাংলাদেশ

এর আগে গতকাল বুধবার আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির পক্ষ থেকে বিলটির দুটি ধারায় আংশিক পরিবর্তনের সুপারিশ করে সংসদে প্রতিবেদন জমা দেয়। সংসদের বৈঠকে সুপারিশসহ বিলটির ওপর সংশোধিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান সরকার।

এর আগে ১৭ জানুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সংক্রান্ত খসড়া আইনটি নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর গত রবিবার সংসদের বৈঠকে তা বিল আকারে উত্থাপন করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। উত্থাপনের পর আপত্তি জানান বিরোধী দল বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ ও রুমিন ফারহানা।

গতকাল বুধবার রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়েও এই বিলের সমালোচনা করেন সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির দুই সদস্য ফখরুল ইমাম ও ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী।

সমালোচনা করেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। এ ছাড়া সংসদের বাইরেও এ বিলের বিভিন্ন ত্রুটি ও অপূর্ণতা নিয়ে নাগরিক সমাজসহ বিভিন্ন মহল জোরালো বক্তব্য দিয়ে আসছে। সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদে এ সংক্রান্ত আইন প্রণয়নের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি ইসি গঠন করবেন- এমন নির্দেশনা থাকার পরও দীর্ঘ ৫০ বছরে কোনো সরকারই এই আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়নি। দেশে ইসি গঠনে প্রথমবারের মতো একটি নতুন আইন হতে যাচ্ছে।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!