যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় পাঁচটি অঙ্গরাজ্যে পৃথকভাবে বেশকিছু শক্তিশালী টর্নেডোর আঘাতে নিহতের সংখ্যা ৮০ ছাড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। গত শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ও ভোরের দিকে আঘাত হানা টর্নেডোকে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
রোববার (১২ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি ও সংবাদমাধ্যম বিবিসি। টর্নেডোর আঘাতে বহু বাড়ি-ঘর ও স্থাপনা লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। অন্যদিকে বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, শক্তিশালী টর্নেডোর আঘাতে নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে।
বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকি প্রদেশেই টর্নেডোতে কমপক্ষে ৭০ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এর মধ্যে একটি মোমবাতি কারখানাতেই নিহত হয়েছেন কয়েক ডজন মানুষ। এছাড়া শুক্রবার রাতের এই ঝড়ের আঘাতে নিহতের সংখ্যা আরও বেড়ে ১০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
টর্নেডোতে বিধ্বস্ত ওই মোমবাতি কারখানাটি যুক্তরাষ্ট্রের মেফিল্ড শহরে অবস্থিত। গত শুক্রবার রাতে হওয়া ওই টর্নেডো কারাখানাটিতে সরাসরি আঘাত হানে এবং এতেই ওই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। বিবিসি বলছে, কারখানার ধ্বংসস্তুপের মধ্যে এখনও তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।
এছাড়া টর্নেডোর পর এখন পর্যন্ত আরও ১১০টি কারাখানা থেকে ৪০ জনেরও বেশি মানুষকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কেন্টাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেসিয়ার বলছেন, বিধ্বস্ত কারাখানাগুলোর ধ্বংসস্তুপ থেকে এখন কাউকে জীবিত উদ্ধার করা হলে সেটি হবে অলৌকিক কোনো ঘটনা।