ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যার অভিযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে দক্ষিণ আফ্রিকা
গাজায় ফিলিস্তিনিদের উপর আড়াই মাসের বেশি সময় ধরে ইসরায়েল যে অভিযান পরিচালনা করছে তাকে ১৯৪৮ সালের জেনোসাইড কনভেনশনের লঙ্ঘন ঘোষণা করার আবেদন নিয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) দ্বারস্ত হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
জাতিসংঘের অংশ আইসিজে কে ‘ওয়ার্ল্ড কোর্ট’ নামেও ডাকা হয়। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের অভিযোগ ও বিরোধ নিষ্পত্তিতে কাজ করে এই আদালত।
![ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যার অভিযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে দক্ষিণ আফ্রিকা 38 গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রতিদিন হতাহত ৪২০ শিশু: ইউনিসেফ](http://www.samoyiki.com/wp-content/uploads/2023/10/Untitled-3-73.jpg)
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দক্ষিণ আফ্রিকার এই অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে বলে জানায় বিবিসি।
হলোকাস্টের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে জেনোসাইড কনভেনশন গৃহীত হয়। যে কনভেনশনে একটা জাতি/ নৃতাত্ত্বিক / গোত্র/ ধর্মীয় গোষ্ঠিকে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার অভিপ্রায়ে সংগঠিত কার্যক্রমগুলো ‘জেনোসাইড’ বলে বর্ণনা করা হয়।
দক্ষিণ আফ্রিকার অভিযোগ, ইসরায়েল গাজায় কনভেশনের শর্ত লঙ্ঘন করছে।
যে কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা আইসিজের কাছে গাজায় ইসরায়েলের অভিযান বন্ধে অস্থায়ী বা স্বল্প সময়ের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দেওয়ার আবেদন করেছে। বলেছে, “ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকারের আরও গুরুতর এবং অপূরণীয় ক্ষতি থেকে রক্ষা করার জন্য এখনই এই পদক্ষেপ প্রয়োজন।”
![ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যার অভিযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে দক্ষিণ আফ্রিকা 39 ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তি শিগগির: ওয়াশিংটন পোস্ট](http://www.samoyiki.com/wp-content/uploads/2023/11/Untitled-1-80.jpg)
দক্ষিণ আফ্রিকার এই আবেদনের বিষয়ে শুনানির কোনো তারিখ এখনো জানানো হয়নি।
নেদারল্যান্ডসের হগে অবস্থিত আইসিজে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত হলেও কোনো রাষ্ট্রকে এর আদেশ মানতে বাধ্য করার যায় না। যে কারণে আদালতটির আদেশ প্রায় সময়ই উপেক্ষিত হয়।
![ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যার অভিযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে দক্ষিণ আফ্রিকা 40 Untitled 11 ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যার অভিযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে দক্ষিণ আফ্রিকা](http://www.samoyiki.com/wp-content/uploads/2023/12/Untitled-11.jpg)
২০২২ সালের মার্চে আইসিজে রাশিয়াকে এখনই ইউক্রেইনে সামরিক অভিযান বন্ধের আদেশ দিয়েছিল। কিন্তু রাশিয়া সেই আদেশ মানেনি।