গাজায় থাকা জিম্মিদের মুক্তি দিতে যুদ্ধবিরতি আবশ্যক: হামাস

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
3 মিনিটে পড়ুন
হামলার পর উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন কিছু ফিলিস্তিনি। ছবি রয়টার্স

গাজায় থাকা জিম্মিদের মুক্তি দিতে যুদ্ধবিরতি আবশ্যক: হামাস

গাজায় থাকা জিম্মিদের মুক্তি দিতে ইসরায়েলি বিমান হামলা বন্ধে যুদ্ধবিরতি আবশ্যক বলে দাবি করেছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। একটি রুশ দৈনিক পত্রিকা মস্কো সফররত হামাস প্রতিনিধি দলের এক সদস্যকে উদ্ধৃত করে এ কথা জানিয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানা গেছে।

হামাসের প্রতিনিধি দলের সদস্য আবু হামিদ বলেছেন, ৭ অক্টোবর হামলা চালিয়ে একাধিক ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী ইসরায়েল থেকে জিম্মি নিয়ে এসেছে। গাজায় থাকা সব জিম্মিদের অবস্থান শনাক্ত করতে সময় প্রয়োজন।

গাজায় থাকা জিম্মিদের মুক্তি দিতে যুদ্ধবিরতি আবশ্যক: হামাস
ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি ভবন থেকে আহত একজনকে উদ্ধার করে তাকে নিয়ে বের হচ্ছেন এক ফিলিস্তিনি। ছবি রয়টার্স

তিনি বলেন, তারা কয়েক ডজন ব্যক্তিকে জিম্মি করেছে। এদের বেশিরভাগ বেসামরিক। গাজা উপত্যকায় তাদের খুঁজে বের করা ও মুক্তি দেওয়ার জন্য আমাদের সময় প্রয়োজন।

আবু হামিদ বলেছেন, এখন পর্যন্ত চার জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হামাস সংঘাতের প্রথম দিন থেকেই স্পষ্ট করেছে বেসামরিক জিম্মি দেওয়ার লক্ষ্য তাদের রয়েছে।

কিন্তু এই কাজ সম্পন্ন করার জন্য শান্ত পরিবেশ প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। দাবি করেছেন, ইসরায়েলি বোমা বর্ষণে ইতোমধ্যে ৫০ জন জিম্মি নিহত হয়েছেন।

রয়টার্সের পক্ষ থেকে আবু হামিদের এই দাবির সত্যতা স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

গাজায় থাকা জিম্মিদের মুক্তি দিতে যুদ্ধবিরতি আবশ্যক: হামাস
গত ৭ অক্টোবর হামাস-শাসিত গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বিমান হামলা শুরুর হয়, যা এখনও চলছে। ছবি সংগৃহীত

হামাসপন্থি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গাজার উপত্যকার ভেতরে অন্তত দুটি স্থানে ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে জড়িয়েছে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এমন ঘটনার কথা নিশ্চিত করেনি।

গাজার মধ্যাঞ্চলের বাসিন্দাদের কয়েকজন বলেছেন, তারা গোলাগুলির মতো শব্দ শুনেছেন। একই সঙ্গে সীমান্তে গোলাবর্ষণ ও বিমান হামলায় ফ্লেয়ার ও বোমা ফেলেছে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান

গাজায় থাকা জিম্মিদের মুক্তি দিতে যুদ্ধবিরতি আবশ্যক: হামাস
ইসরায়েলের হামলা থেকে রক্ষা পাচ্ছেনা স্কুল-কলেজ, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান কোন কিছু্। ছবি সংগৃহীত

ইসরায়েল বলেছে, যাদের যুদ্ধবিমান থেকে ফেলা বোমায় হামাসের তিন সিনিয়র কমান্ডার নিহত হয়েছেন। ৭ অক্টোবরের হামলায় তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। তবে হামাসের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোনও ঘোষণা দেওয়া হয়নি।

ইসরায়েল বলে আসছে, হামাসকে নিশ্চিহ্ন করতে গাজায় স্থল অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে তাদের সেনাবাহিনী। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও আরব দেশগুলো এই অভিযান পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে আসছে। তাদের আশঙ্কা, ঘনবসতিপূর্ণ গাজায় এমন অভিযানে বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা বহুগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে যা মধ্যপ্রাচ্যে বড় ধরনের সংঘাতের সূত্রপাত ঘটাতে পারে।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!