ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃত্যু ১৬ হাজার ছাড়াল

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
2 মিনিটে পড়ুন

দুই দেশে মৃতের সংখ্যা ১৬ হাজার ৩৫ জনে পৌঁছেছে। উদ্ধার তৎপরতা চলছে। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১৬ হাজার ছাড়িয়েছে। এখনও অনেকে আটকা আছেন ধ্বংসস্তূপে।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার এ তথ্য দিয়েছে সংবাদমাধ্যম সিএনএন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই দেশে মৃতের সংখ্যা ১৬ হাজার ৩৫ জনে পৌঁছেছে। উদ্ধার তৎপরতা চলছে। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।

তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা ১২ হাজার ৮৭৩। আর সিরিয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া মরদেহের সংখ্যা ৩ হাজার ১৬২টি।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, এখনও বিভিন্ন ভবনের নিচে আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধারে প্রচণ্ড শীতের মধ্যে কাজ করে যাচ্ছেন কর্মীরা।

স্থানীয় সময় সোমবার ভোররাত ৪টা ১৭ মিনিটে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয় সিরিয়া সীমান্তবর্তী তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে, যার উৎপত্তিস্থল কাহরামানমারাস প্রদেশের পাজারসিক জেলায়।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) সংস্থার তথ্যমতে, প্রথমে আঘাত হানা ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। এরপর অন্তত ১০০ বার কেঁপে ওঠে (আফটার শক) এ দুই দেশ।

তবে এর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল সোমবার দুপুর দেড়াটার দিকে আঘাত হানা ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্পটি। এর উৎপত্তিস্থল ছিল তুর্কির কাহরামানমারাস শহর

ভূমিকম্পে ধসে পড়েছে হাজারো বাড়ি, হাসপাতাল, স্কুলসহ বিভিন্ন স্থাপনা। দু দেশের হাজার হাজার মানুষ আহত হন; গৃহহীন হয়ে পড়েন অনেকে।

ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক, বাজে আবহাওয়া, প্রয়োজনীয় রসদ ও ভারী যন্ত্রপাতির অভাবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কিছু এলাকায় প্রবেশে বেগ পেতে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের।এমন বাস্তবতায় ‍উদ্ধার তৎপরতায় অবহেলার কথা স্বীকার করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভূমিকম্পের তিন দিন পরও মাথা গোঁজার ঠাঁই হচ্ছে না হাজার হাজার পরিবারের। ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত শহর গাজিয়ানটেপে বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা কমে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে।

ভয়ে কিংবা নিষেধের কারণে ঘরে ফিরতে না পারা শহরটির অনেক বাসিন্দাকে গাড়িতে কিংবা অস্থায়ী তাঁবুতে রাত কাটাতে হয়েছে। দুই বছরের মেয়েকে কম্বলে জড়িয়ে রাখা মেলেক হালিসি নামের এক বাসিন্দা বলেন, ‘বসে থাকাটা বেদনাদায়ক। কারণ আমার ভয় লাগে, কেউ হয়তো এই কংক্রিটের নিচে চাপা পড়ে আছে।

‘একপর্যায়ে আমাদের তাঁবুতে যেতে হবে, কিন্তু আমি তা চাই না। আমি শীত সইতে পারছি না। আবার ফ্ল্যাটে যাওয়ার কথাও ভাবতে পারছি না।’

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!