মাতাল হয়ে গভীর ঘুম দুই ডজন হাতির, জাগাতে হলো ঢাকঢোল পিটিয়ে

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
2 মিনিটে পড়ুন

ভারতের ওড়িশা রাজ্যে দুই ডজন হাতিকে মাতাল হয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। স্থানীয়দের ধারণা মহুয়া খেয়ে হাতিগুলো ঘুমিয়ে পড়েছিল। হাতির পালের মধ্যে ছিল ৯টি পুরুষ, ছয়টি স্ত্রী হাতি আর বাকিগুলো বাচ্চা হাতি।

বুধবার (৯ নভেম্বর) রাজ্যের কেওনঝার জেলার শিলীপদ জঙ্গলে এমন ঘটনাটি ঘটে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে।

গ্রামবাসীরা স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তারা জঙ্গলের ভেতর একটি পাত্রের মধ্যে দেশি মদ তৈরির জন্য মহুয়া ভিজিয়ে রেখে এসেছিলেন। পরের দিন ভোরে তারা জঙ্গলের ভেতর পাত্রটির কাছে যান। সেখানে গিয়ে তারা হাতিগুলোকে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখতে পান।

নড়িয়া শেঠি নামে এক গ্রামবাসী দ্য প্রেস ট্রাস্ট অভ ইন্ডিয়াকে বলেন, “আমরা সকাল ৬টার দিকে মহুয়াগুলো দেখতে জঙ্গলে গিয়েছিলাম। সেখানে যাওয়ার পর দেখি সব পাত্র ভাঙা, কোনো পাত্রে মহুয়া নেই। পাশেই ঘুমচ্ছিল হাতিগুলো। তারা সম্ভবত মহুয়া ভেজানো পানি খেয়ে মাতাল হয়ে পড়েছিল।”

- বিজ্ঞাপন -

এরপর গ্রামবাসীরাই হাতিগুলোকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাদের চেষ্টা ব্যর্থ হয়। এরপর তারা বন দপ্তরকে খবর দেন। এরপর তাদের সহায়তায় মাদল ও ঢাকঢোল বাজিয়ে হাতিগুলোর ঘুম ভাঙানো হয়।

ঘুম থেকে উঠে হাতিগুলো দুলতে দুলতে জঙ্গলের ভেতর চলে যায়।

বন্য হাতিদের কাছে মহুয়া বেশ জনপ্রিয় বলে জানিয়েছেন ভারতের বন্যপ্রাণী উদ্ধার ও পুনর্বাসনে সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান ওয়াইল্ড-লাইফ এসওএস-এর প্রধান নির্বাহী কার্তিক সত্যনারায়ণ।

তিনি বলেন, “হাতিরা মহুয়া খুব পছন্দ করে। এটি বিশুদ্ধ, সুস্বাদু এবং বেশ শক্তিশালী। কোথাও থেকে মহুয়ার গন্ধ আসার পর এটি খাওয়ার জন্য তারা দেওয়ালও ভেঙে ফেলতে পারে।”

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

একটি অ্যাকাউন্ট নেই? নিবন্ধন করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!