কাশ্মীর নিয়ে বক্তব্যে দেয়ার জন্য ৭ বছরের কারাদণ্ডের মুখে অরুন্ধতী রায়

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
3 মিনিটে পড়ুন
বুকার জয়ী ভারতীয় সাহিত্যিক অরুন্ধতী রায়। ছবি এএফপি

কাশ্মীর নিয়ে বক্তব্যে দেয়ার জন্য ৭ বছরের কারাদণ্ডের মুখে অরুন্ধতী রায়

কাশ্মীরকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার দাবি তোলায় বুকার পুরস্কার বিজয়ী ভারতের সাহিত্যিক অরুন্ধতী রায় ও কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শেখ শওকত হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা চালানোর অনুমতি দিয়েছেন দিল্লির উপরাজ্যপাল ভি কে সাক্সেনা। এই মামলায় অরুন্ধতী রায়ের সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১০ সালে তাঁদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে এই মামলা চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ওই বছরই দিল্লিতে এক জনসভায় কাশ্মীর ইস্যুতে ‘উসকানিমূলক ভাষণ’ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁদের বিরুদ্ধে।

কাশ্মীর নিয়ে বক্তব্যে দেয়ার জন্য ৭ বছরের কারাদণ্ডের মুখে অরুন্ধতী রায়
পৃথিবীর ভূ- স্বর্গ বলা হয় কাশ্মীরকে । ফাইল ছবি

২০১০ সালে অরুন্ধতী রায় ও শেখ শওকত হোসেনের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে সুশীল পণ্ডিত ও ‘রুটস ইন কাশ্মীর’ নামে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের এক সংগঠন। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ, ১৫৩বি ও ৫০৫ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯৬ ধারার অধীনে এ ধরনের বিচারের জন্য রাষ্ট্রের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়।

ভারতীয় বিধিতে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনের (ইউএপিএ) অধীনে বেআইনি কার্যক্রমে সমর্থন, উৎসাহ বা উসকানি দেওয়া সাত বছর পর্যন্ত কারাবাসের শাস্তিযোগ্য।

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ

অভিযোগে বলা হয়, কমিটি ফর রিলিজ অব পলিটিক্যাল প্রিজনারস আয়োজিত ‘আজাদি: দ্য অনলি ওয়ে’ নামে ২০১০ সালের ২১ অক্টোবরের কনফারেন্সে কাশ্মীরকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার দাবি তোলা হয়েছিল। সেখানে অরুন্ধতী রায় ও শেখ শওকত হোসেনসহ অন্যদের ভাষণগুলো ছিল ‘উসকানিমূলক’।

কাশ্মীর নিয়ে বক্তব্যে দেয়ার জন্য ৭ বছরের কারাদণ্ডের মুখে অরুন্ধতী রায়
ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি দল কাশ্মিরে । ফাইল ছবি

এই মামলায় আরও দুই অভিযুক্ত দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সাঈদ আবদুল রহমান গিলানি এবং কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সাঈদ আলি শাহ গিলানি। এর আগে সংসদে হামলা-মামলায় সুপ্রিম কোর্ট থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন দুজন। কিন্তু এই মামলা নিষ্পত্তির আগেই তাঁরা মারা গেছেন।

ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ, ১৫৩ বি, ৫০৪, ৫০৫ ধারা এবং ইউএপিএর ১৩ ধারায় অরুন্ধতী রায় ও শেখ শওকত হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে দিল্লি পুলিশ। ভারতীয় পেনাল কোডের অধীনে তিনটি ধারায় মামলা পরিচালনা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

কাশ্মীর নিয়ে বক্তব্যে দেয়ার জন্য ৭ বছরের কারাদণ্ডের মুখে অরুন্ধতী রায়
কাশ্মিরে ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীর কয়েকজন সদস্য। ফাইল ছবি

ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ ধারা ধর্ম, জাতি, জন্মস্থান, বাসস্থান, ভাষা ইত্যাদির ভিত্তিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে বিদ্বেষ প্রচার ও সম্প্রীতির জন্য ক্ষতিকর কাজের সঙ্গে সম্পর্কিত।

জাতীয় ঐক্যের জন্য ক্ষতিকর এমন অভিযোগের সঙ্গে সম্পর্কিত ১৫৩বি ধারা। এ ছাড়া, শান্তি বিনষ্টের উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃত কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ৫০৫ ধারা।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!