যুক্তরাষ্ট্রের স্কুলে আবারও বন্দুক হামলা, হতাহত ১০

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
3 মিনিটে পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রের একটি স্কুলে আবারও বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ৩ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে সন্দেহভাজন হামলাকারীও রয়েছে। এছাড়া এই ঘটনায় আরও সাতজন আহত হয়েছেন।

স্থানীয় সময় সোমবার (২৪ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের সেন্ট লুইস শহরের একটি হাইস্কুলে এই বন্দুক হামলা ও হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার স্থানীয় সময় ৯টার পরে এক বন্দুকধারী মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের সেন্ট লুইস শহরের সেন্ট্রাল ভিজ্যুয়াল অ্যান্ড পারফর্মিং আর্টস হাই স্কুলে প্রবেশ করে। এরপরই সেখানে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।

বিবিসি বলছে, স্কুল ভবনের দরজা তালাবদ্ধ ছিল এবং সন্দেহভাজন ওই বন্দুকধারী সেখানে কীভাবে প্রবেশ করে তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, হামলা শুরুর পর একপর্যায়ে বন্দুকধারীর হাতে থাকা অস্ত্রটি জ্যাম বা আটকে যাওয়ার পর অনেকের প্রাণ রক্ষা পায়।

সেন্ট লুইস পাবলিক স্কুল বলছে, পুলিশ অভিযুক্ত ওই বন্দুকধারীকে ‘দ্রুত থামিয়েছে’। সন্দেহভাজন ওই হামলাকারীকে ১৯ বছর বয়সী সাবেক ছাত্র হিসাবে পুলিশ শনাক্ত করেছে। হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পুলিশের সাথে অভিযুক্ত হামলাকারীর গুলি বিনিময় হয় এবং পরে নিজের আঘাতে সে মারা যায়।

প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থীর সেন্ট্রাল ভিজ্যুয়াল অ্যান্ড পারফর্মিং আর্টস হাই স্কুলের সাথে ওই হামলাকারীর সংশ্লিষ্টতা বা সেখানে হামলার উদ্দেশ্য ঠিক কী তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বিবিসি বলছে, হামলাকারী ছাড়া নিহতদের অন্য দু’জন হচ্ছেন একজন কিশোরী এবং একজন নারী। হামলার পরপরই ওই কিশোরীকে স্কুলের ভেতরেই মৃত ঘোষণা করা হয়। এছাড়া নিহত ওই নারী হামলায় আহত হওয়ার পর হাসপাতালে নেওয়া হলেও সেখানে মারা যায় বলে পুলিশ স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে।

স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুসারে, হামলায় আহত সাতজনের মধ্যে তিনজন মেয়ে এবং চারজন ছেলে। তাদের কারও আঘাতই খুব বেশি গুরুতর নয়।

শহরের পুলিশ কমিশনার মাইকেল স্যাকের মতে, অফিসাররা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর আক্রমণকারীর কাছে ‘লম্বা বন্দুক’ দেখতে পান। এছাড়া হামলার আতঙ্কে অনেক শিক্ষার্থীকে স্কুল থেকে পালিয়েও যেতে দেখেন তারা।

তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের সকলের জন্য হৃদয়বিদারক দিন’। এফবিআই এজেন্টরা তদন্তে সহায়তা করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলা ও এতে প্রাণহানির ঘটনা কিছুতেই থামছে না। হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার, স্কুল, রেল স্টেশনের মতো জায়গাগুলোতেও প্রায়ই হামলার ঘটনা ঘটছে। গত মে মাসে টেক্সাসে একটি স্কুলে ভয়াবহ হামলায় নিহত হয় ১৯ শিশু শিক্ষার্থীসহ ২১ জন।

রব এলিমেন্টারি স্কুলের সেই ঘটনায় কেঁপে ওঠে গোটা যুক্তরাষ্ট্র। এরপরই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে জোর দাবি উঠতে থাকে দেশজুড়ে।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!