জাপানে তৈরি পোশাক রপ্তানি বিলিয়ন ডলার ছাড়াল

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
2 মিনিটে পড়ুন

২০২১-২২ অর্থবছরে জাপানে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। আর গত ১০ বছরে দ্বিগুণ হয়েছে দেশটিতে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি। সংশ্লিষ্টরা রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য জাপানের চীন-প্লাস নীতি এবং নিয়মের শিথিলতার কথা বলছেন।

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আরও জানান, ২০২১ সালের ১ এপ্রিল থেকে জাপানের বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা উপভোগ করছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ জাপানে ১.০৯৮ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি করেছে যা চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১৬% বেড়েছে। পোশাক রপ্তানি করে ২০২১-২২ অর্থবছরে ৯৪৪.৮২ মিলিয়ন ডলার আয় হয়।

তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ প্রথমবার বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে। যা ছিল ১.৯১ বিলিয়ন ডলার। ২০১২-১৩ অর্থবছরে নিট এবং ওভেন আইটেমের পোশাক রপ্তানি হয় ৪৭৮.৪৮ মিলিয়ন ডলার। যা ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ছিল মাত্র ৭৪.৩৩ মিলিয়ন ডলার।

রপ্তানিকারকরা অবশ্য জাপানে পোশাক আইটেম রপ্তানিতে বেশ কিছু সমস্যার কথা জানিয়েছেন। মানের বিষয়ে জাপানি ক্রেতাদের জিরো টলারেন্স নীতি, সময়মতো চালান পাওয়া এবং ভাষাকে জাপানে পোশাক রপ্তানিতে বাধা হিসেবে উল্লেখ করেছেন তারা।

সম্প্রতি ইউনাইটেড নেশন্স কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ইউএনসিটিএডি) এক প্রতিবেদন অনুসারে, জাপানের বাজারে টেক্সটাইল এবং পোশাক পণ্যগুলো শুল্কমুক্ত সুবিধার জন্য মূলত অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনসের (আশিয়ান) সদস্য পদের ওপর নির্ভর করে। বাংলাদেশ এবং নেপাল যেহেতু আসিয়ানের অংশ নয়, তাই তারা জাপানে রপ্তানির ক্ষেত্রে জিএসপি বা এমএফএনে (মোস্ট ফেভারড নেশন)-এর অধীনে থাকবে।

তাই এই দুই দেশ তাদের পোশাক রপ্তানিতে ৮.৫-৯% পর্যন্ত শুল্কের সম্মুখীন হবে। অন্যদিকে, কম্বোডিয়া, লাও পিডিআর এবং মিয়ানমার আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে জাপানে শুল্কমুক্ত বাজারের সুবিধা পেতে থাকবে।

তৈরি পোশাক শিল্পের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করেন, ২০২১ সালের মধ্যে জাপানে পোশাকের বাজারের আকার ৯০ বিলিয়ন ডলারের বেশি হবে। জাপানি ক্রেতারা মানের ব্যাপারে খুবই কঠোর। তারা প্রতিটি পণ্য আলাদা আলাদা করে পরীক্ষা করে।

তারা জানান, জাপানি ক্রেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক করতে যথেষ্ট সময় লেগেছে। কারণ তারা দেশের রপ্তানিকারকদের কাজের মানের বিষয়টি পরীক্ষা করে এবং সময়মত চালান করতে পারবে কি-না সেটাও পরীক্ষা করে। এছাড়াও জাপানি ক্রেতাদের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক তৈরিতে ভাষা আরেকটি বড় বাধা বলেও জানান তারা।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!