‘কুকুরের মাংস’ গুজব ছড়িয়ে নষ্ট করা হয় রেস্টুরেন্টের জনপ্রিয়তা

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
2 মিনিটে পড়ুন

ঢাকার আশুলিয়ায় একটি রেস্টুরেন্টের বিরিয়ানিতে ‘‘কুকুরের মাংস’’ দেওয়ার অভিযোগে গত ১৫ মে শুরু হয় হৈ-চৈ। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়ে সেই রেস্টুরেন্ট মালিককে। কিন্তু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানা গেছে, দোকানটির বিরিয়ানিতে কুকুরের নয় তৃণভোজী প্রাণীর (গরু, ভেড়া বা ছাগলের) মাংস ছিল।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় রোগ অনুসন্ধান গবেষণাগারে পরীক্ষা করে এ তথ্য জানিয়েছের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো সাজেদুল ইসলাম।

তিনি জানান, আশুলিয়া থেকে জব্দ করা মাংস সাভার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। তবে সাভারে কোনো ল্যাব না থাকায় মাংসগুলো পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় ঢাকায়।

শনিবার রাতে মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. গোলাম আজম চৌধুরীর সই করা একটি রিপোর্ট পায় সাভার প্রাণিসম্পদ অফিস। এতে পিসিআর ও মলিক্যুলার টেস্ট করে দেখা গেছে, ওই বিরিয়ানিতে কুকুরের মাংস ছিল না।

পরীক্ষা করে জানা গেছে, ওই মাংস ছিল তৃণভোজী প্রাণী যেমন গরু, ছাগল বা ভেড়ার।

এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এস আই) সুব্রত রায় বলেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের গবেষণাগার থেকে একটি রিপোর্ট দিয়েছেন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা। তারা জব্দ করা মাংস কুকুরের নয় বলে নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আল্লাহর দান বিরিয়ানি হাউজের মালিক রাজিব জানান, আশুলিয়া বিভিন্ন এলাকায় তাদের সাতটি শাখা রয়েছে। দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠায় একটি চক্র মিথ্যে গুজব ছড়িয়ে তাদের দোকানের সুনাম নষ্ট করেছে। এই ক্ষতি করার জন্য তিনি ওই চক্রের বিচার দাবি করেন।

গত ১৫ মে আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকায় আল্লাহর দান বিরিয়ানি হাউস -৫ নামের একটি দোকানের বিরিয়ানিতে “কুকুরের মাংস” রয়েছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেন এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় দোকান মালিক রাজিবকে গ্রেপ্তার করে ৫৪ ধারায় আদালতে পাঠানো হয়। এরপর হোটেলে থাকা মাংস জব্দ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!