ম্যানচেস্টার সিটিকে হতাশায় ডুবিয়ে ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
3 মিনিটে পড়ুন

আরও একবার নকআউট পর্বে পা হড়কালো পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটির। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে সিটিকে ধরাশায়ী করে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে পৌঁছে গেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচের নব্বই মিনিট পর্যন্ত দুই লেগ মিলিয়ে ৩-৫ গোলে পিছিয়ে থেকে শেষ মুহূর্তে রদ্রিগোর দুই গোল এবং অতিরিক্ত সময়ে বেনজেমার পেনাল্টির সুবাদে ৬-৫ গোলে সিটিকে টপকে রেকর্ড ১৭ বারের মতো ফাইনালে উঠেছে কার্লো অ্যানচেলোত্তির দল।

প্রথম লেগে সিটির মাঠে ৩-৪ গোলে হেরে গিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। ফাইনালে উঠতে ঘরের মাঠে তাই জয় ভিন্ন আর কিছু ভাবার অবকাশ ছিল না তাদের সামনে। ম্যাচের আগে রিয়াল খেলোয়াড়দের প্রত্যয় দেখেও মনে হচ্ছিল, দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠে রাজসিক প্রত্যাবর্তনই হয়ত দেখা যাবে দলটির।

তবে ম্যাচের প্রথম থেকে নব্বই মিনিট পর্যন্ত ভিন্ন চিত্রই দেখা যায়। শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় ম্যানচেস্টার সিটি। বল দখলে রেখে খেলতে থাকে তারা। গোলের পরিষ্কার সুযোগ খুব একটা তৈরি করতে না পারলেও মাদ্রিদকে ব্যাকফুটে রেখেই এগুচ্ছিল তারা। প্রথমার্ধে দুই দলই দেখেশুনে খেলতে থাকে, অতি সাবধানী থাকায় সেই অর্ধে কোন গোল আসেনি।

দ্বিতীয়ার্ধের বার্নাব্যুকে স্তব্ধ করেন সিটির রিয়াদ মাহরেজ। ৭৩ মিনিটে বের্নার্দো সিলভার পাস ধরে বক্সের ডান প্রান্ত থেকে তার বাঁ পায়ের জোরালো শটে এগিয়ে যায় ম্যানচেস্টার সিটি। দুই মিলিয়ে তখন ৩-৫ গোলে পিছিয়ে পড়ে স্বাগতিকরা। শেষ ষোল এবং কোয়ার্টার ফাইনালে যথাক্রমে পিএসজি এবং চেলসির বিপক্ষে দারুণ প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে জয় পাওয়া মাদ্রিদের জন্য এই টাইয়ে ফিরে আসাটা এবার অসম্ভবই মনে হচ্ছিল।

তবে মাদ্রিদ সেই ‘অসাধ্য’ সাধন করেছে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রদ্রিগো গোয়েজের অনন্য পারফরম্যান্সে। কোয়ার্টার ফাইনালে চেলসির বিপক্ষে প্রত্যাবর্তনেরও অন্যতম নায়ক ছিলেন তিনি। সিটির বিপক্ষে ৬৮ মিনিটে টনি ক্রুজের বদলি হিসেবে রদ্রিগোকে মাঠে নামান অ্যানচেলোত্তি।

সেই রদ্রিগোই দুই মিনিটে দুই গোল করে শেষ পর্যন্ত মাদ্রিদকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন। ৯০ ও যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে তার দুই গোলেই হালে পানি পায় মাদ্রিদ। নব্বই মিনিটে সিটি বক্সের ভেতর এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গার ক্রস নিয়ন্ত্রণে নেন করিম বেনজেমা, আর দ্রুত প্রতিক্রিয়ায় সে বল জালে পাঠিয়ে দেন রদ্রিগো। সেই গোলের পর মিনিটের কাটা না ঘুরতেই আবারও সিটির গোলমুখে হানা দেন রদ্রিগো। দানি কারভাহালের শূন্যে ভাসানো মাপা ক্রস থেকে দারুণ এক হেডে সিটির জালে বল জড়ান মাদ্রিদ।

পুরো ৯০ মিনিটে সিটির গোলে একটি শটও নিতে না পারা মাদ্রিদ চোখের পলকে ম্যাচে ফিরে আসে, প্রাণ সঞ্চার হয় বার্নাব্যুতে। রদ্রিগোর ঝড়ের পর আর ম্যাচে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি সিটি। উল্টো অতিরিক্ত সময়ে বক্সের ভেতর বেনজেমাকে পেছন থেকে ট্যাকল করতে গিয়ে পেনাল্টি উপহার দেন সিটি অধিনায়ক রুবেন দিয়াজ। প্রথমকে লেগে স্পট কিক থেকে পানেনকা শটে এডারসনকে পরাস্ত করা বেনজেমা এবার তার ডান পাশ দিয়ে প্লেসিং শটে বল জালে পাঠান।

আর বেনজেমার এই গোলের মধ্য দিয়ে আরও একবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে পৌঁছে যায় রিয়াল মাদ্রিদ, আরও একবার নকআউট পর্বে কপাল পোড়ে গার্দিওলার।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!