আজ বিশ্ব বন্যপ্রাণি দিবস। ২০১৩ সালের ২০ ডিসেম্বর জাতিসংঘের ৬৮তম সাধারণ অধিবেশনে ৩ মার্চকে বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২০১৪ সালে প্রথম এ দিবসটি পালন করা হয়। বিশ্বের বন্যপ্রাণী এবং উদ্ভিদকূলের প্রতি গণসচেতনতা বৃদ্ধি করা এই দিবসের মূল লক্ষ্য।
১৯৭০ সাল থেকে বিশ্বে এ পর্যন্ত বন্যপ্রাণির সংখ্যা কমেছে দুই-তৃতীয়াংশ। এভাবে বাংলাদেশের ভূখণ্ড থেকে হারিয়ে গেছে ৩১ প্রজাতির প্রাণি। এছাড়াও বাংলাদেশে অন্তত ২১৯টি প্রজাতির বন্যপ্রাণি বিপন্ন। এই তালিকার মধ্যে আছে উভচর সরীসৃপ, পাখি, স্তন্যপায়ী প্রাণী। ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড লাইফ ফান্ডের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বনবিভাগের এক হিসাবে বাংলাদেশের ৪২ প্রজাতির উভচরের মধ্যে ৮টি,১৫৮টি প্রজাতির সরীসৃপের মধ্যে ৬৩টি, ৭৩৬টি প্রজাতির পাখির মধ্যে ৪৭টি, ১২৪টি স্তন্যপায়ী প্রাণির মধ্যে ৪৩টির অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন। বন্যপ্রাণির এই বিপন্নতার মাঝে আজ ৩ মার্চ (বৃহস্পতিবার) পালিত হচ্ছে বিশ্ব বন্যপ্রাণি দিবস। জাতিসংঘভুক্ত দেশগুলো এ দিবসটি পালন করে থাকে। বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হবে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে উত্থাপিত বিবরণীতে, বন্যপ্রাাণিদের অপরিহার্য মূল্য এবং বিভিন্ন অবদানের কথা পুনর্ব্যক্ত করা হয়। এতে পরিবেশগত, জিনতাত্ত্বিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, বৈজ্ঞানিক, শিক্ষাবিষয়ক, সাংস্কৃতিক, বিনোদনমূলক এবং নান্দনিক বিষয়ের সাথে যুগসই উন্নয়ন এবং মানবকল্যাণের দিকে গুরুত্ব আরোপ করা হয়। বিশ্বের বন্যপ্রাণি এবং উদ্ভিদকুলের প্রতি গণসচেতনতা গড়ে তোলা, এবং সিআইটিইএস-এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে স্বীকার করে বলা হয়, আর্ন্তজাতিক বাণিজ্য যাতে বন্য প্রজাতিদের টিকে থাকতে হুমকি হয়ে না দাঁড়ায় তা নিশ্চিত করতে হবে।