সার্জেন্ট মহুয়ার মামলায় কার দোষ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
3 মিনিটে পড়ুন

রাজধানীর বনানীতে সার্জেন্ট মহুয়া হাজংয়ের বাবা গাড়ি চাপায় পা হারানোর ঘটনায় কার দোষ তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হাফিজ আক্তার।

রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ডিএমপি’র মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

অতিরিক্ত কমিশনার হাফিজ আক্তার বলেন, ‘পুলিশ সার্জেন্ট মহুয়া হাজংয়ের বিষয়টি আমিও জানি। এই ঘটনায় আমাদের গুলশান বিভাগের বনানী থানায় একটি মামলা হয়েছে, তদন্ত চলছে।’

সার্জেন্ট মহুয়ার করা মামলায় আসামির নাম না দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নাম না দেওয়ার কারণ ঘটনা কী ঘটেছে সে বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কার দোষ সেটি খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সিসিটিভি ফুটেজ ও মামলার বাদী তার অভিযোগে আসামির নাম উল্লেখ করার পরেও অজ্ঞাত আসামি হিসেবে মামলা নেওয়ার বিষয়ে একই প্রশ্নে জানতে চাইলে হাফিজ আক্তার বলেন, ‘পুলিশ সার্জেন্ট মহুয়া আমাদেরই একজন সদস্য। তবে যেহেতু মামলা হয়েছে তাই সাধারণ মানুষ যেভাবে বিচার পান তার বিষয়টি সেভাবে দেখা হবে। তার মামলার বিষয়ে গুলশান বিভাগ কাজ করেছে।’

পুলিশের পক্ষ থেকে মহুয়ার পাশে থাকবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা তার পাশে অবশ্যই আছি। সে তো আমাদেরই লোক
তবে আইনের স্প্রিটে যা হয়, সেভাবেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনের চোখে যেটা হওয়ার সেটাই হবে।’

গত ২ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীর চেয়ারম্যান বাড়ি সড়কে একটি দ্রুতগতির গাড়ির চাপায় আহত হন সার্জেন্ট মহুয়ার বাবা মনোরঞ্জন হাজং। তাকে উদ্ধার করে শ্যামলীর পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়। গুরুতর অবস্থার কারণে অস্ত্রোপচার করে তার ডান পা কেটে ফেলতে হয়েছে। এরপর শাহবাগের বারডেম হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় তাকে।

সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মনোরঞ্জন হাজং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) অবসরপ্রাপ্ত হাবিলদার। তার মেয়ে মহুয়া হাজং ট্রাফিক সার্জেন্ট হিসেবে ডিএমপিতে কর্মরত। দুর্ঘটনার পর তিনি থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ প্রথমে মামলা নেয়নি। এমনকি ঘটনার পর পথচারীরা চাপা দেওয়া সেই গাড়ি ও চালকসহ অন্য যাত্রীদের আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিলেও তারা ছাড়া পেয়ে যায়।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, দুর্ঘটনার সময় গাড়িতে চালকের আসনে ছিলেন বিচারপতি রেজাউল হাসানের ছেলে সাইফ হাসান। তার স্ত্রী অন্তরা সাইফ আর বন্ধু রোয়াদও গাড়িতে ছিলেন। দুর্ঘটনার পরই প্রভাবশালীদের চাপে গাড়ি ও এর যাত্রীদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় পুলিশ। একইসঙ্গে তারা মহুয়া হাজংয়ের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আপসের চেষ্টাও চালায়। কিন্তু মহুয়া হাজং মামলার বিষয়ে অটল থাকায় এবং গণমাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। আইনি ব্যবস্থা না নেওয়ায় অনেক পুলিশ কর্মকর্তাও ক্ষুব্ধ হন।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!