৫০ পেরিয়ে ৫১ বছরে পদার্পণ করল বাংলাদেশ

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
3 মিনিটে পড়ুন

আজ ১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ ২৪ বছরের স্বাধীনতা সংগ্রাম আর নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে এই দিনেই বাঙালি জাতি পেয়েছে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র, নিজস্ব মানচিত্র আর চির গৌরবের পতাকা।

একাত্তরের এই দিন বিকালে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করে। এর মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে সগৌরবে উদ্ভাসিত হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ

এবার বাঙালির স্বাধীনতা অর্জন ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী। ৫০ বছর পেরিয়ে ৫১ বছরে পদার্পণ করল বাংলাদেশ। বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে জাতি প্রবেশ করছে অনন্য এক অধ্যায়ে। আজকের দিনে একাত্তরের বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাবে জাতি। ভাসবে বিজয় আনন্দে। রাজধানী ঢাকা থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত উদযাপিত হবে বিজয়ের উৎসব

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে দেশবাসীকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি তারা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেছেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্মরণ করেছেন অগণিত মুক্তিযোদ্ধা, জাতির সূর্য সন্তানদের। ত্রিশ লাখ শহীদ; যাদের রক্তের বিনিময়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন সম্ভব হয়েছিল, তাদের কথা।

আজ প্রত্যুষে ঢাকার তেজগাঁওয়ে পুরনো বিমানবন্দর এলাকায় ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের অনুষ্ঠানমালার সূচনা ঘটবে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধের মহান শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে গেল বছর জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে সম্মিলিত বাহিনীর বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত না হলেও এবার বড় পরিসরে তা আয়োজিত হচ্ছে। বিজয় দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ‘গেস্ট অব অনার’ হিসেবে অংশ নেবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।

বিকালে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ শীর্ষক অনুষ্ঠান। বিকাল সাড়ে চারটার দিকে এই অনুষ্ঠান থেকে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে দেশবাসীকে নিয়ে শপথ পাঠ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সন্ধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাগুলো আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপগুলো জাতীয় পতাকাসহ বিভিন্ন পতাকায় সজ্জিত থাকবে।

দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এদিন সংবাদপত্রগুলোতে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেতার বাংলাদেশসহ বেসরকারি ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার হবে।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের চিত্রাঙ্কন, রচনা প্রতিযোগিতা এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করবে। বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বিজয় দিবসের আলোচনা সভা ও প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হবে।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!