যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকি অঙ্গরাজ্যে শক্তিশালী টর্নেডোর আঘাতে ৭০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। টর্নেডোতে অঙ্গরাজ্যটি লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। শত শত ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ। রাজ্যটিতে জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, স্থানীয় সময় শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে ৩৬৫ কিলোমিটার গতিতে টর্নেডোটি কেনটাকিজুড়ে আঘাত হানে। এটাকে কেনটাকির ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ টর্নেডো বলে আখ্যায়িত করেছেন গভর্নর অ্যান্ডি বেশিয়ার।
গভর্নর বলেন, ‘আমি এমন বিধ্বংসী ঝড় দেখিনি। কেনটাকিতে অন্তত ৫০ জন মারা গিয়েছেন। সংখ্যাটা ৭০-এর উপরেও হতে পারে। দিনের শেষে ১০০ ছাড়িয়ে গেলেও অবাক হওয়ার থাকবে না।’
তিনি জানান, জরুরি উদ্ধারকাজে সহায়তা করার জন্য ১৮৯ জন ন্যাশনাল গার্ড সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, কেনটাকির পশ্চিমাংশের মেফিল্ড শহর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১০ হাজার বাসিন্দার ছোট এই শহরটিতে কেনটাকি প্রতিবেশী রাজ্য ইলিনয়, মিজৌরি ও আরকানসয়ের সঙ্গে মিলিত হয়েছে।
বেশিয়ার জানান, টর্নেডো এই এলাকার একটি মোমবাতি কারখানাকে দুমড়ে মুচড়ে দিয়ে গেছে, ওই সময় সেখানে প্রায় ১১০ জনের মতো ছিল; কারখানাটির ছাদ ভেঙে পড়ে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া সেবার ঝড় পর্যবেক্ষক বিল বান্টিং বলেন, টর্নেডোয় মিজৌরি ও টেনিসি অঙ্গরাজ্যও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।