বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলবে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
3 মিনিটে পড়ুন
ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা পিছিয়ে থাকতে পারি না। আমাদেরকে এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। সে জন্য শিক্ষা কার্যক্রমকে সময়োপযোগী করা একান্তভাবে অপরিহার্য।

শিক্ষা ব্যবস্থার আরও আধুনিকায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, শিক্ষা কার্যক্রমকে সময়োপযোগী করা একান্ত অপরিহার্য।

সোমবার গণভবনে জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখার খসড়ার উপস্থাপনা অবলোকনকালে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের যে নীতিমালা আছে, তার ভিত্তিতে আমরা করবো। কিন্তু এটা সব সময় সবার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের চলতে হবে এবং বিশ্ব পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। আর এই বিজ্ঞান প্রযুক্তি জ্ঞানের ক্ষেত্রে বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে, আমরা কোনো মতেই পিছিয়ে থাকতে পারি না।

বিজ্ঞান শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আরেকটা বিষয় আমি লক্ষ্য করেছিলাম আমাদের দেশের ছেলেমেয়েদের বিজ্ঞানের প্রতি অনিহা। বিজ্ঞান শিক্ষা তারা নিতেই চাই তো না। বিজ্ঞান বিভাগের লোকই পাওয়া যেতো না। এ রকম একটা সময় কিন্তু ছিল। আমরা বিজ্ঞান শিক্ষায় গুরুত্ব দেই। আমরা ১২টা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছি।

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সরকারের চলমান বিভিন্ন কার্যক্রম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেহেতু আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলছি, আমরা সেই লক্ষ্যে নানা পদক্ষেপ নিয়েছি।

দীর্ঘদিন পর রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কথা উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, আলহামদুলিল্লাহ গতকাল থেকে আমরা স্কুল-কলেজ খুলে দিয়েছি। ধীরে ধীরে সবগুলো খুলে যাবে। যার ফলে আবার নতুন ভাবে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে।

তিনি বলেন, আমাদের অত্যন্ত দুর্ভাগ্য আমরা প্রায় দেড় বছরের মতো আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলতে পারিনি। যদিও অনলাইনে বা টেলিভিশনের মাধ্যমে বা ঘরে বসে- ঘরেই আমরা স্কুল, এরই ধরনের বহুমুখী কার্যক্রম আমরা হাতে নিয়েছি, কাজ করেছি। কিন্তু স্কুলে যাওয়ার আনন্দ, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার আনন্দ থেকে শিশুরা বঞ্চিত হয়েছে।

করোনাকালীন সময়ে শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে সংশ্লিষ্টদের ভূমিকার প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, যখন সব কিছু স্থবির তখন আপনারা যথেষ্ট উদ্যোগ নিয়েছেন। বিশেষ করে শিক্ষার ক্ষেত্রে এখনকার যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কিভাবে শিক্ষা ব্যবস্থাটাকে আরও আমাদের শিক্ষার্থীদের কাছে আকর্ষণীয় করা যায়। আবার সেই সাথে সাথে জীবন জীবিকার পথটাও যেন খোলে। সেই বিষয়টার দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিয়ে আপনারা এই কার্যক্রমগুলো করেছেন।

শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে বিভিন্ন এলাকায় নতুন নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এ পর্যন্ত যথেষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছি। যে সমস্ত এলাকায় স্কুল ছিল না। সেসব এলাকায় আমরা স্কুল তৈরি করে দিচ্ছি।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!