আনাস মাদানীর নেতৃত্বে হেফাজতের ঐক্যবদ্ধের ডাক

ঢাকা প্রতিনিধি
ঢাকা প্রতিনিধি
3 মিনিটে পড়ুন
ছবি: সংগৃহীত

হেফাজতে ইসলামের প্রয়াত আমির শাহ আহমদ শফীর ছোট ছেলে আনাস মাদানীর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হেফাজতের ডাক দেওয়া হয়েছে শফীপন্থীদের এক আলোচনায়।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রহ.)-এর জীবন, কর্ম, অবদান ও চলমান সংকট নিরসনে উলাময়ে কেরামের করণীয়’ বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সাভার মাদ্রাসার মুফতি হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আনাস মাদানীর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে হেফাজতকে সংঘবদ্ধ করতে হবে। আমরা যদি তাকে সামনে রেখে এগিয়ে যাই, তাহলে শফী হজুরের খুনিদের বিচার এই বাংলার মাটিতে হবেই। হেফাজতেকে হাইজ্যাক করে ভিন্ন কিছু করা যাবে না। এ ধরনের কাজ যারা করছে তারা ভুল পথে আছেন।’

এই অনুষ্ঠানে আনাস ও তার বড় ভাই ইউসুফ মাদানী উপস্থিত ছিলেন। তিনি আলেমদের ঐক্যবন্ধের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেছন, উলামায়ে কেরামের অনৈক্যের সুযোগে সুবিধাবাদী কিছু নাস্তিক-মুরতাদ সরকারকে ভুল বুঝিয়ে ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডে প্রলুব্ধ করে দেশের শান্তিশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তাই আলেমদের ঐক্য গড়তে হবে। বর্তমান সময়ে আমাদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা অনৈক্য।

লিখিত বক্তব্যে মাওলানা আনাস মাদানী বলেছেন, আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে বহু অভিধায় অভিহিত করা গেলেও সব কিছু ছাপিয়ে তার সবচেয়ে বড় পরিচয়— তিনি সাদা মনের বিশাল হৃদয়ের এক মহানুভব ব্যক্তিত্ব ছিলেন। ছিলেন উম্মাহর কল্যাণকামী। জনসাধারণের উদ্দেশ্যে তিনি যেমন বয়ান করেছেন, তেমনি আলেম সমাজকেও নসিহত করেছেন খোলামন নিয়ে। তার মিশন ছিল— আলেমরা শুধু বস্তুগত ও জাগতিক দৃষ্টি লালন করবেন না, বরং তারা আধ্যাত্মিকভাবে এগিয়ে যাবেন। তিনি আলেমদের জাগাতে চেয়েছেন শেকড় থেকে। তিনি বলতেন, আলেমগণ এক হয়ে গেলে দেশে আর কোনো সমস্যা থাকবে না।

আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রহ.) কখনো দায়িত্ব এড়িযে যাননি উল্লেখ করে মাওলানা আনাস বলেন, ২০১৩ সালে হেফাজতের ঘটনা এবং পরবর্তী সময়ে হজরতের আচরণগুলো তার প্রমাণ। তিনি সরকারের সঙ্গে শত্রুতাও দেখাননি এবং তাদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন উপদেশ দিতেও কসুর করেননি। অনেকবার সরকারকে তিনি সতর্কও করেছেন। ফলে এই মধ্যমপন্থায় থাকার কারণে তিনি সরকার থেকে অনেক দাবি আদায় করতে পেরেছেন। কওমি স্বীকৃতি তার মধ্যে অন্যতম।

তিনি আরও বলেন, কওমি মাদ্রাসায় যে আশঙ্কাজনক এবং ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি বর্তমানে বিরাজমান, এ সম্পর্কে আব্বাজান (রহ.) আগেই সতর্ক করেছিলেন। তিনি এ সমস্যা থেকে উত্তরণের পদ্ধতিও বাতলে দিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, নানা পর্যায় থেকে কওমি মাদ্রাসার বিরুদ্ধে এবং আলেমদের আদর্শচ্যুত করার বহুবিধ ষড়যন্ত্র চলতেই থাকবে। এ পর্যায়ে আলেমরা যদি নীতি ও লক্ষ্যে অবিচল, ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারেন, তবে কোনো ষড়যন্ত্রই কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার ক্ষতি করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাওলানা লিয়াকত আলী। উপস্থিত রয়েছেন মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা রুহুল আমিন উজানভী, মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈফী, মাওলানা মাঈনুদ্দীন রুহী, মাওলানা শেখ মুজিবুর রহমান, মাওলানা গোলাম মুহীউদ্দীন ইকরাম, মাওলানা আব্দুল আউয়াল কাউসারী, আব্দুল মালেক চৌধুরী, মাওলানা রেজাউল করীম যশোরী, মাওলানা ফয়েজ আহমদ প্রমুখ।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!