যেসব শর্ত থাকছে হামাস-ইসরায়েলের সম্ভাব্য সমঝোতায়

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
3 মিনিটে পড়ুন
গাজায় ট্যাংক দিয়ে গেলাবর্ষন করছেন ইসরায়েলি সেনারা। ছবি রয়টার্স

যেসব শর্ত থাকছে হামাস-ইসরায়েলের সম্ভাব্য সমঝোতায়

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হামাস ও ইসরায়েলি বাহিনীর যুদ্ধের দেড় মাস পেরোনোর পর এই প্রথম সমঝোতায় পৌঁছানোর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে দু’পক্ষের মধ্যে। হামাসের চেয়ারম্যান ও রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসরমাইল হানিয়ে জানিয়েছেন, দু-পক্ষই একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের কাছাকাছি পর্যায়ে পৌঁছেছে।

কী কী শর্ত অন্তর্ভুক্ত হতে পারে সম্ভাব্য সেই সমঝোতায়, তা এখনও চুড়ান্ত না হলেও হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা ইজ্জত আল রিশক এ সম্পর্কিত কিছু ইঙ্গিত দিয়েছেন কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে।

গাজা সিটি ঘিরে ফেলার পর টানেল নেটওয়ার্ক খুঁজে বের করতে নজর ইসরায়েলের
ইসরায়েলের বিমান হামলার একটি দৃশ্য। ছবি রয়টার্স

ইজ্জত আল রিশক বলেন, সম্ভাব্য সমঝোতা চুক্তিতে গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা, ত্রাণ ও সহায়তা পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে প্রবেশ করতে দেওয়া এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য বাইরের দেশে পাঠানোর মতো শর্তগুলো অন্তর্ভুক্ত করতে চায় হামাস

সম্ভাব্য এই সমঝোতায় ইসরায়েলের মূল মনযোগ হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টিতে। এই ইস্যুতে আগের অবস্থান ধরে রেখেছে হামাস। আর সেই অবস্থান হলো— ইসরায়েল যদি তাদের কারাগারে বন্দি হামাসের নেতাকর্মী ও ফিলিস্তিনিদের ছেড়ে দেয়, তাহলে হামাসও জিম্মিদের মুক্ত করবে।

আল রিশক আরও বলেন, কাতারের মধ্যস্থতায় গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইসরালের সরকারের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তিতে পৌঁছানোর ব্যাপারে আলাপ আলোচনা চলছিল; কিন্তু ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনঞ্জামিন নেতানিয়াহু জেদ করেছিলেন— হামাসের সর্বস্তরে এবং ফিলিস্তিনের সব প্রতিবাদী পক্ষের সঙ্গে যেন এই ইস্যুতে আলোচনা ও তাদের মতামত জানতে চাওয়া হয়। তাই খানিকটা বিলম্ব হয়েছে।

যেসব শর্ত থাকছে হামাস-ইসরায়েলের সম্ভাব্য সমঝোতায়
স্বজন হারানো ফিলিস্তিনিদের কান্না। ছবি এএফপি

ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ১২ তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সোমবার ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন বিশেষ মন্ত্রিসভার বৈঠকে হামাসের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে এবং মন্ত্রিসভার সদস্যরা এ ইস্যুতে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা অতর্কিত হামলা চালানোর পর ওই দিন থেকেই উপত্যকায় অভিযান পরিচালনা করছে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে এ অভিযানে যোগ দিয়েছে স্থল বাহিনীও।

গাজায় জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৩১
গাজা উপত্যকায় হামলা অব্যাহত রয়েছে। ছবি সংগৃহীত

অন্যদিকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৩ হাজার ৩০০ জনে। আর গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন।

স্থল বাহিনী অভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছেন ইসরায়েলের সেনা বাহিনীর ৬৮ জন সদস্য। এছাড়া এই যুদ্ধের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫০ জন সাংবাদিক।

সূত্র: আল জাজিরা

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!