৫০ জন জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে যুদ্ধবিরতির অনুমোদন ইসরায়েলের

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
3 মিনিটে পড়ুন
ইসরায়েলে জিম্মিদের স্বজনদের বিক্ষোভ। ছবি সংগৃহীত

৫০ জন জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে যুদ্ধবিরতির অনুমোদন ইসরায়েলের

জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে হামাস যে প্রস্তাব দিয়েছিল তা আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েল। ৫০ জন জিম্মির বিনিময়ে অবরুদ্ধ গাজায় চারদিন যুদ্ধবিরতি দেয়া হবে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা। খবরটি নিশ্চিত করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

ইসরায়েলি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যাদের মুক্তি দেয়া হবে তাদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু। টেলিগ্রামে দেয়া এক বিবৃতিতে হামাস বলছে যুদ্ধবিরতির আওতায় ইসরায়েল অবরুদ্ধ গাজায় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করবে, চিকিৎসা ও জ্বালানিসহ যেসব অনুদান গাজায় পাঠানো হবে তা যেনো নির্বিঘ্নে প্রবেশ করতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে, দক্ষিণ গাজায় চারদিন যুদ্ধবিরতি থাকবে আর উত্তর গাজায় সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ড্রোনের ব্যবহার বন্ধ থাকবে। সেই সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চলাকালীন গাজায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারবে না ইসরায়েলি সেনারা এবং হামলা চালানো বন্ধ রাখবে। তবে ঠিক কবে জিম্মিদের মুক্তি দেয়া হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

ইসরায়েলের স্থল অভিযান মোকাবেলার প্রতিজ্ঞা হামাসের
৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন আকস্মিক হামলার পর থেকে গাজায় তীব্র বোমাবর্ষণ করে চলেছে ইসরায়েল। ছবি এপি

জিম্মিদের মধ্যে বিদেশি নাগরিকও রয়েছেন। এর জবাবে গাজায় বিমান হামলা ও স্থল অভিযান চালিয়ে আসছে ইসরায়েলি সেনারা। এসব হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ১৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এর আগে দুই দফায় চার জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস।

ইসরায়েলের সঙ্গে সমঝোতায় একটি প্রস্তাব দিয়েছিল ফিলিস্তিনের শাসক গোষ্ঠী হামাস। এ সমঝোতায় মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা পালন করেছে কাতার। আর এই সমঝোতার নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের।

৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস ও ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা। হামলায় অন্তত ১ হাজার ২০০ নিহতের দাবি করেছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। এছাড়া সেখান থেকে ২৪০ জনের মতো জিম্মিকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে আসে ফিলিস্তিনিরা। আর ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনি মৃতের সংখ্যা ১৪ হাজার ছাড়িয়েছে।

৫০ জন জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে যুদ্ধবিরতির অনুমোদন ইসরায়েলের
হামলার হাতে জিম্মিদের ছবিযুক্ত পোস্টারের মাঝে দাঁড়িয়ে দুজন আলিঙ্গন করছেন। ছবি এএফপি

এর আগে হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া বলেছিলেন, কাতারের মধ্যস্থতায় ইসরায়েলের সঙ্গে একটি সমঝোতার কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন তারা। তবে এই বিষয়ে ইসরায়েলের কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জিম্মিদের নিয়ে শিগগিরই সুসংবাদ পাওয়ার আশার কথা জানিয়েছিলেন।

হামলার হাতে জিম্মিদের ছবিযুক্ত পোস্টারের মাঝে দাঁড়িয়ে দুজন আলিঙ্গন করছেন। ছবি এএফপি
ইসরায়েল নিশ্চিত করেছে যে হামাস ২২৯ জনকে জিম্মি করে রেখেছে। ছবি সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও বলেছিলেন, হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্ত করতে কয়েক সপ্তাহ ধরে আমরা কাজ করছি। এখন আমরা খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছি। আমরা হয়ত জিম্মিদের দ্রুত ফিরিয়ে আনতে পারব। কিন্তু সব কিছু হওয়ার আগ পর্যন্ত কিছুই চূড়ান্ত নয়।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আল-আনসারি মঙ্গলবার বলেছিলেন, আমরা একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর এমন একটি পর্যায়ে রয়েছি, যা বেশ গুরুত্বপূর্ণ এবং অনেকটাই চূড়ান্ত পর্যায়ের কাছাকাছি।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!