সোমালিয়ায় ট্রাক বোমা বিস্ফোরণ, নিহত ১০
আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ার মধ্যাঞ্চলের বেলেডওয়েন শহরের একটি তল্লাশি চৌকিতে ট্রাক বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। বিস্ফোরণের এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও এক ডজনের বেশি মানুষ।
শনিবার বেলেডওয়েনের ব্যস্ততম এলাকায় বিস্ফোরণে হতাহতের ওই ঘটনা ঘটেছে বলে দেশটির পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
![সোমালিয়ায় ট্রাক বোমা বিস্ফোরণ, নিহত ১০ 38 সোমালিয়ায় ভয়াবহ সহিংসতায় কমপক্ষে ৩৬ জন নিহত](http://www.samoyiki.com/wp-content/uploads/2023/06/somaliya-1-1024x553.jpg)
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, বেলেডওয়েনের তল্লাশি চৌকিতে বিস্ফোরণে আশপাশের কিছু ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিস্ফোরণের পেছনে কারা জড়িত তাৎক্ষণিকভাবে তা পরিষ্কার হওয়া যায়নি। তবে হর্ন অব আফ্রিকার এই দেশটিতে প্রায়ই এ ধরনের বোমা হামলা চালায় স্থানীয় জঙ্গিগোষ্ঠী আল-শাবাব।
বেলেডওয়েনের পুলিশ কর্মকর্তা আহমেদ আদেন রয়টার্সকে বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত আমি সৈন্য ও বেসামরিক নাগরিকসহ ১০ জন নিহত এবং আরও এক ডজনেরও বেশি আহত ব্যক্তিকে দেখেছি। তবে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।’
সোমালিয়ার মধ্যাঞ্চলের হিরান প্রদেশে বেলেডওয়েন শহরের অবস্থান। সম্প্রতি শহরটিতে দেশটির সামরিক বাহিনী ও আল-শাবাবের যোদ্ধাদের মাঝে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
আহমেদ আদেন বলেন, নিহতদের মধ্যে পুলিশের পাঁচ কর্মকর্তাও আছেন। তারা তল্লাশি চৌকিতে ট্রাকটি চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা ঠেকাতে গিয়েছিলেন। এ সময় ট্রাকটি লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছেন তারা।
![সোমালিয়ায় ট্রাক বোমা বিস্ফোরণ, নিহত ১০ 39 সোমালিয়ায় ট্রাক বোমা বিস্ফোরণ, নিহত ১০](http://www.samoyiki.com/wp-content/uploads/2023/09/Untitled-1-57-1024x564.jpg)
বিস্ফোরণের কারণে তল্লাশি চৌকিসহ আশপাশের ভবন ও দোকানপাট ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিস্ফোরণস্থলের কাছে থাকা হালিমা নুর নামের এক নারী রয়টার্সকে বলেছেন, তার ভাতিজা এবং অন্যান্যরা কাছের একটি দোকানে ছিলেন। বিস্ফোরণের পর তিনি তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেননি।
![সোমালিয়ায় ট্রাক বোমা বিস্ফোরণ, নিহত ১০ 40 সোমালিয়ায় সামরিক একাডেমিতে আত্মঘাতী বোমা হামলায়, নিহত ২৫](http://www.samoyiki.com/wp-content/uploads/2023/07/Untitled-1-116.jpg)
হালিমা বলেন, আমি ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। সবকিছু এখন শুধু ধ্বংসস্তূপ। আমি আমার ভাতিজাকে শনাক্ত করতে পারি নাই।
সোমালিয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে দেশটির জঙ্গিগোষ্ঠী আল-শাবাব এক দশকের বেশি সময় ধরে লড়াই করছে। সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশটিতে কঠোর ইসলামি শরিয়া আইন চালুর লক্ষ্যে লড়ছে তারা।
সূত্র: রয়টার্স।