ই-কমার্সের টাকা ফেরত দেওয়া হবে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
3 মিনিটে পড়ুন

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে আটকে থাকা গ্রাহকদের টাকা গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে ফেরত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম শফিকুজ্জামান।

তিনি জানান, ‘বিজ্ঞপ্তির পর শুনানি শেষে যেখানে যে টাকা আটকে আছে, তা গ্রাহকদের ওয়ালেটে রিফান্ড করা হবে। ই-ক্যাবকে সাত দিনের মধ্যে মার্চেন্টদের তালিকা দিতে বলা হয়েছে। তারা যদি তালিকা সরবরাহ না করে, তাহলে গ্রাহকদের ওয়ালেটে টাকাগুলো ফেরত দেওয়া হবে।’

বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ই-কমার্স গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়া এবং ডিজিটাল কমার্সের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য সংঘটিত লেনদেন সৃষ্ট ভোক্তা বা বিক্রেতার অসন্তোষ, প্রযুক্তি সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে গঠিত টেকনিক্যাল কমিটির চতুর্থ সভা শেষে সাংবাদ কর্মীদের তিনি এসব কথা বলেন।

সভার সিদ্ধান্তগুলো হচ্ছে— গ্রাহকদের যে টাকা বিভিন্ন পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকা আছে, সেগুলো রিলিজ করে দেওয়া হবে। তার আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। বিভিন্ন কোম্পানির যদি কোনও কিছু বলার থাকে, তা শোনা হবে। তারপর পেমেন্ট গেটওয়ের টাকাগুলো ফেরত দেওয়া শুরু করা হবে।

অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘বিভিন্ন তালিকা আমাদের হাতে এসেছে, যারা এখনও গাঢাকা দিয়ে আছেন। এমনও আছে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগের পর আবারও হারিয়ে গেছে। সেসব প্রতিষ্ঠানের পূর্ণাঙ্গ তালিকা ই-ক্যাবের মাধ্যমে আগামী ১০ দিনের মধ্যে চাওয়া হয়েছে। ই-ক্যাব যাচাই-বাছাই করে একটি অফিসিয়াল তালিকা আমাদের দেবে। সেই তালিকা আমরা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করবো। সেখানে পেমেন্ট দুই লাখ থেকে ১০ কোটি টাকা বাকি থাকতে পারে। তখন পুলিশ যদি তাদের আইনের আওতায় আনে, তাহলে আইনগতভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বলতে পারি, আমরা একটা তালিকা পুলিশের কাছে দেবো, তবে সংখ্যাটা পরে জানিয়ে দেওয়া হবে।’

কতগুলো কোম্পানির টাকা গ্রাহকদের দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কিউকমের ৫৯ কোটি টাকার মধ্যে ৫১ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। আলেশা মার্টের ৪২ কোটির মধ্যে ২০ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। বাকিগুলো ছোট ছোট। সব মিলিয়ে ৭৩ কোটি টাকার বেশি ফেরত দেওয়া হয়েছে।’

অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘ইভ্যালির বিষয়ে হাইকোর্ট কমিটি করে দিয়েছেন। কমিটিতে যারা আছেন, তারা এ বিষয়টি দেখছেন। ইভ্যালি নিয়ে কী করবে না করবে- সেটা আমরা জানি না। মূলত যে কমিটি আছে, তারাই যা করার করবে। কিউকমের রিপন মুক্ত হয়েছেন। তাঁদের টাকা আটকে আছে ফস্টারে। তাঁর সঙ্গে বসে আটকে থাকা টাকা রিলিজ করা হবে।’

শফিকুজ্জামান বলেন, ‘পেমেন্ট গেটওয়ে তাদের মার্চেন্টদের অফিসিয়ালি জানাবে। তাঁদের যদি কোনও গ্রাহক তালিকা থাকে, সেই তালিকা দিতে হবে। এজন্য তাদের সাত দিন সময় দেওয়া হবে। এর মধ্যে তাঁরা যদি তালিকা না দেয়, তাহলে গ্রাহকদের ওয়ালেটে টাকা ফেরত দেওয়া হবে। আটকে থাকা সব টাকা এভাবে রিলিজ করে দেবো। দ্বিতীয় সিদ্ধান্ত হচ্ছে, ই-কমার্সের অনেক প্রতিষ্ঠান, যার মধ্যে আজ দুটি প্রতিষ্ঠানের টাকা রিলিজ করেছ। এর আগে ১০টি প্রতিষ্ঠানের টাকা রিলিজ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ১২টি প্রতিষ্ঠানের টাকা রিলিজ করা হলো।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!