প্রায় ৪০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এসেও “সময় শেষ হয়ে যাওয়ায়” ভর্তি না হতে পারা শিক্ষার্থী নিপুণ বিশ্বাসকে ভর্তির সুযোগ দিয়েছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি)।
মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের বিশেষ নির্দেশে মানবিক ও পারিবারিক অবস্থা বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন কমিটির জরুরি সভায় নিপুণের ভর্তির বিষয়ে সম্মত হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের সহকারী পরিচালক আবদুর রশীদ অর্ণব জানান, উপাচার্যের বিশেষ নির্দেশে নিপুণ বিশ্বাসকে শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়াবিজ্ঞান (পিইএসএস) বিভাগে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়েছে। বুধবার সব প্রক্রিয়া শেষে স্বাস্থ্যবিজ্ঞান অনুষদ নিপুণের ভর্তি নিশ্চিত করবে।
এর আগে বিকেলে ডিন কমিটির সভায় বলা হয়, পরিবহন-সংক্রান্ত জটিলতার কারণে শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়াবিজ্ঞান (পিইএসএস) বিভাগের মেধাতালিকার ১৭ নম্বরে থাকা নিপুণ বিশ্বাস ভর্তির জন্য নির্ধারিত সময়ের মাঝে উপস্থিত হতে পারেননি। তার স্থানে মেধাতালিকায় থাকা বায়েজিদ মল্লিক নামে আরেক শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়।
সভায় ডিন কমিটি মানবিক দিক বিবেচনা করে শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগে একটি আসন বর্ধিত করে নিপুণকে ভর্তির অনুরোধ জানায়।
ড. মো. মেহেদী হাসানের সভাপতিত্বে ডিন কমিটির জরুরি সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. তানভীর ইসলাম, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিব, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. সুমন চন্দ্র মোহন্ত, জীববিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জিয়াউল আমিন এবং কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, “নিপুণ বিশ্বাস সমাজের একটি অনগ্রসর পরিবারের সদস্য। যবিপ্রবি প্রশাসন সব সময়ই শিক্ষার্থীদের প্রতি সহানুভূতিশীল। যারা এ ঘটনা প্রশাসনের নজরে আনতে সহায়তা করেছেন, তাদের সবাইকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আশা করছি বুধবারের মধ্যেই নিপুণ বিশ্বাসের ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যাবে।”