নায়িকা শিমুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার, স্বামীসহ আটক ২

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
2 মিনিটে পড়ুন

ঢাকা জেলার কেরানিগঞ্জ থেকে চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে তার মরদেহ রয়েছে রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে। শিমু হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে তার স্বামী নোবেল ও নোবেলের বন্ধু ফরহাদকে আটক করেছে র‌্যাব। সোমবার দিবাগত রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় একটি গাড়িও জব্দ করা হয়।

এর আগে সোমবার দুপুরে কেরানীগঞ্জের হযরতপুর সেতুর পাশে দুটি বস্তায় শিমুর দেহের দুটি অংশ পাওয়া যায়। তখন পরিচয় শনাক্ত না হলেও রাতে স্বজনরা নিশ্চিত করেন লাশটি শিমুর। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

জানা গেছে, রাজধানীর গ্রিনরোডের নিজ বাসা থেকে রবিবার সকাল ১০টায় বাসা থেকে বের হন শিমু। সন্ধ্যা ৭টায় শিমুর এক বন্ধু শিমুকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান। পরে রাত ১১টায় কলাবাগান থানায় যায় জিডি করা হয়। পরে জিডিতে অজ্ঞাত নামা কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি আবদুস সালাম বলেন, শিমুকে অন্য কোথাও ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। এরপর লাশটি টুকরা করে দুটি বস্তায় ভরে গুম করার জন্য সেতুর পাশে ফেলে রাখা হতে পারে।

শিমু চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্য ছিলেন। আসন্ন নির্বাচনে ১৮৪ জনের সঙ্গে তার সদস্য পদ স্থগিত করা হয়। এ নিয়ে স্থগিত হওয়া অন্য সদস্যদের সঙ্গে তিনি বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে আন্দোলনে সরব ছিলেন। তার স্বজনরা বলছেন, তাকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশও বলছে, শিমু পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের শিকার।

১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত প্রায় ২৫ সিনেমায় অভিনয় করেন শিমু। তিনি কাজী হায়াতের ‘বর্তমান’ সিনেমায় প্রথম অভিনয় করেন। পরে দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, চাষি নজরুল ইসলাম, শরিফ উদ্দিন খান দিপুসহ আরও বেশ কিছু পরিচালকের সিনেমায় কাজ করেন।

কয়েক বছর ধরে একটি বেসরকারি টিভির মার্কেটিং বিভাগে কর্মরত ছিলেন শিমু। টুকটাক নাটকে কাজ করতেন। পাশাপাশি তার নিজের নাটক নির্মাণের প্রোডাকশন হাউজ ছিল বলে জানা যায়।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!