কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে টাকা

সিদ্ধার্থ সিংহ
সিদ্ধার্থ সিংহ
2 মিনিটে পড়ুন

রাস্তার পাশে লাইন দিয়ে বস্তা বস্তা টাকা নিয়ে বসে আছেন ব্যবসায়ীরা। ক্রেতারা সেখান থেকে তাঁদের প্রয়োজন মতো টাকা কিনছেন! ওই চাল, ভাল, তেল, নুন কেনার মতো।

কেউ ভাবতেই পারেন, এ রকম আবার হয় নাকি? হয় হয়। এ রকমই বেশ কিছু বিচিত্র বাজার রয়েছে আফ্রিকার একটি ছোট্ট দেশ— সোমালিল্যান্ডে। সেখানে বিক্রি হয় টাকা। জাল বা নকল টাকা নয়, এক্কেবারে আসল টাকা।

খোলা রাস্তায় দিন-দুপুরে ক্রেতারা বিনিময় প্রথার মাধ্যমে ব্যাগ ভরে ভরে নিয়ে যাচ্ছেন রাশি রাশি টাকা। থুড়ি, টাকা নয়, সিলিং। আমাদের দেশের মুদ্রা যেমন টাকা, ওদের দেশের মুদ্রা হল— ‘শিলিং’।

মানব সভ্যতার শুরুতে বিনিময় প্রথার মধ্যে দিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য হত ঠিকই, কিন্তু তা বলে এই একুশ শতকেও?

আসলে, এর জন্য একমাত্র সোমালিল্যান্ডের আর্থিক কাঠামোই দায়ী। শিলিংয়ের দাম ব্যাপক ভাবে কমে যাওয়ার ফলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

২০০০ সালে যেখানে এক ডলার মানে ভারতীয় মুদ্রা ছিল ৫৪ টাকা, সেখানে সোমালিল্যান্ডে এক ডলার ছিল ১০ হাজার শিলিংয়ের কাছাকাছি।

২০১৭ সালের প্রথম দিকে এক ডলার ছিল ৯ হাজার শিলিংয়ের সমান। তাই ডলার বা ইউরোর নিরিখে সামান্য খরচ করলেই পাওয়া যেত কয়েক কেজি নোট!

শিলিংয়ের এমন মূল্যহীনতার কারণেই সোমালিল্যান্ডের মুদ্রার গুরুত্ব ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। শিলিংয়ের দাম ওখানে এতটাই কম যে, ওই মুদ্রার বাজারে লাট দেওয়া বস্তা বস্তা টাকা থাকলেও কোনও অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেই!

ডাকাত তো দূরের কথা, চোর-ছিনতাইবাজ, এমনকি ছিঁচকে চোরেরাও এই শিলিং চুরি করতে আসে না। ফলে, রাস্তার পাশে ফুটপথের উপরেই ফেলে রেখে বিক্রি হচ্ছে শুধু কেজি কেজি নয়, টন টন শিলিং।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
২০২০ সালে 'সাহিত্য সম্রাট' উপাধিতে সম্মানিত এবং ২০১২ সালে 'বঙ্গ শিরোমণি' সম্মানে ভূষিত সিদ্ধার্থ সিংহের জন্ম কলকাতায়। আনন্দবাজার পত্রিকার পশ্চিমবঙ্গ শিশু সাহিত্য সংসদ পুরস্কার, স্বর্ণকলম পুরস্কার, সময়ের শব্দ আন্তরিক কলম, শান্তিরত্ন পুরস্কার, কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত পুরস্কার, কাঞ্চন সাহিত্য পুরস্কার, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা লোক সাহিত্য পুরস্কার, প্রসাদ পুরস্কার, সামসুল হক পুরস্কার, সুচিত্রা ভট্টাচার্য স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার, অণু সাহিত্য পুরস্কার, কাস্তেকবি দিনেশ দাস স্মৃতি পুরস্কার, শিলালিপি সাহিত্য পুরস্কার, চেখ সাহিত্য পুরস্কার, মায়া সেন স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার ছাড়াও ছোট-বড় অজস্র পুরস্কার ও সম্মাননা। পেয়েছেন ১৪০৬ সালের 'শ্রেষ্ঠ কবি' এবং ১৪১৮ সালের 'শ্রেষ্ঠ গল্পকার'-এর শিরোপা সহ অসংখ্য পুরস্কার। এছাড়াও আনন্দ পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত তাঁর 'পঞ্চাশটি গল্প' গ্রন্থটির জন্য তাঁর নাম সম্প্রতি 'সৃজনী ভারত সাহিত্য পুরস্কার' প্রাপক হিসেবে ঘোষিত হয়েছে।
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!