কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬০তম জন্মবার্ষিকী

তিমির বণিক
তিমির বণিক
3 মিনিটে পড়ুন

সীমার মাঝে অসীম তুমি বাজাও আপন সুর.. আমার মধ্যে তোমার প্রকাশ তাই এত মধুর.. কত বর্ণে কত গন্ধে, কত গানে কত ছন্দে.. অরূপ, তোমার রূপের লীলায় জাগে হৃদয়-পুরু.. আমার মধ্যে তোমার শোভা এমন সুমধুর….বাংলা সাহিত্যের প্রতিটি পরতে পরতে এমনি রস মিশিয়ে এই সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আজ পঁচিশে বৈশাখ। বাঙালির প্রাণপুুরুষ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬০তম জন্মবার্ষিকী।

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬০তম জন্মবার্ষিকী আজ। কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে ১২৬৮ বঙ্গাব্দে পঁচিশে বৈশাখ জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ১৯১৩ সালে কবিগুরুর নোবেল পুরস্কার জয় বাংলা সাহিত্যকে বিশ্বসাহিত্যের মর্যাদা এনে দেয়। বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের রচয়িতাও তিনি। এই উৎসবের আয়োজন এবারও কুষ্টিয়ার কুঠিবাড়ীতে পালিত হচ্ছে না।করোনা মহামারীতে সরকারি বিধিনিষেধ থাকায় গত বছরের ন্যায় এবার ও সরকারি সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত।

জন্মের দেড় শতাধিক বছর পেরিয়ে গেলেও বাঙালিদের এখন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা বাঙালির কাছেই এক আনন্দঘন উৎসবের এ দিন। কবিগুরুর জন্মদিনের উৎসবে রবীন্দ্রজয়ন্তীর অজস্র অনুষ্ঠান আয়োজন করে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হতো প্রিয় কবির স্মৃতির প্রতি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনা পরিমাণে বিপুল, বিষয়ে বৈচিত্র্যময়। কবিতা, সংগীত, উপন্যাস, ছোটগল্প, নাটক, প্রবন্ধ, ভ্রমণ, শিশুতোষ রচনাসহ সাহিত্যের প্রতিটি শাখাই সমৃদ্ধ হয়েছে তাঁর মেধা-মনন-সৃজনশীলতায়। প্রায় একক প্রচেষ্টায় তিনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে আধুনিক করে তুলেছিলেন। জীবনের শেষ পর্যায়ে চিত্রকলা চর্চায় মনোনিবেশ করে সেখানেও অনন্যতার স্বাক্ষর রেখেগেছেন। রবীন্দ্র জয়ন্তি এবারও মহামারী করোনায় কবির স্মৃতি বিজরিত শিলাইদহে সরাসরি কোন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে না।

বাংলা সাহিত্যের এই প্রাণপুরুষ সমাজকল্যাণমূলক কাজেও রেখেছেন বিশেষ ভূমিকা। শিক্ষাবিস্তার, কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নসহ তাঁর জনকল্যাণমূলক কাজগুলোও এক অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। কবিগুরুর জন্মবার্ষিকী ঘিরে প্রতিবছর কুষ্টিয়াসহ সারা দেশে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলেও গত বছর ও এ বছর করোনার কারণে তা হয়নি। তবে ভার্চুয়েলি বিভিন্ন সংগঠন দিবসটি উদযাপন করবে।

ড. সরওয়ার মুর্শেদ বলেন, তবে কুষ্টিয়ার কুঠিবাড়ীতে এবছর যেন এক অন্য ২৫ বৈশাখ। শান্তিনিকেতনে আনাচে-কানাচেতে আজ ধ্বনিত হচ্ছে না কবিগুরুর গান। চতুর্দিক খাঁ-খাঁ করেছে। করোনা ঘিরে সর্বত্রই সতর্কতা। আগামী বছর ছবিটা পাল্টাবে। ফের রবীন্দ্রনাথ যাপন সম্ভব হবে বড় পরিসরে আশা তেমনটাই। ঘরে বসেই রবীন্দ্র-অনুরাগীরা স্মরণ করবে তাঁদের প্রাণের রবিকে।

কুষ্টিয়া জেলা কালচারাল অফিসার সুজন রহমান বলেন ১৮৯১ সাল থেকে পিতার আদেশে নদিয়া, পাবনা, রাজশাহী ও উড়িষ্যার জমিদারি তদারকি শুরু করেন রবীন্দ্রনাথ। কুষ্টিয়ার শিলাইদহের কুঠিবাড়িতে তিনি দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করেন।

১৯৩৭ সালে একবার অচৈতন্য হয়ে গিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থা হয়েছিল কবির। সেবার সেরে উঠলেও ১৯৪০ সালে অসুস্থ হওয়ার পর আর তিনি সেরে উঠতে পারেননি। এই সময়পর্বে রচিত রবীন্দ্রনাথের কবিতাগুলো ছিল মৃত্যুচেতনাকে কেন্দ্র করে। মৃত্যুর সাত দিন আগ পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথ সৃষ্টিশীল ছিলেন। দীর্ঘ রোগভোগের পর ১৯৪১ সালে জোড়াসাঁকোর বাসভবনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
অনুসরণ করুন:
সাময়িকী, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি।
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!