তানভীর মোকাম্মেল

তানভীর মোকাম্মেল প্রখ্যাত বাংলাদেশী চলচ্চিত্র পরিচালক। তিনি বাংলাদেশ ফিল্ম ইন্সটিটিউটের পরিচালক ও বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরামের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। জন্ম ১৯৫৫, তিনি খুলনায় বড় হন। তাঁর বাবা নড়াইলের ম্যাজিস্ট্রেট ও মা স্থানীয় একটি কলেজের শিক্ষিকা ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ইংরেজি সাহিত্যে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন সময়ে মোকাম্মেল গ্রামীণ এলাকার ভূমিহীন কৃষকদের জন্য বামপন্থী সাংবাদিক হিসাবে কাজ করেছেন।একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসাবে তিনি ছয়টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, পনেরোটি প্রামাণ্যচিত্র এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন, যাদের মধ্যে কয়েকটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করে। তার নির্মিত চলচ্চিত্রগু হচ্ছে নদীর নাম মধুমতি, চিত্রা নদীর পারে, লালসালু, লালন, রাবেয়া, এবং জীবনঢুলী। তানভীর মোকাম্মেলের উল্লেখযোগ্য প্রামাণ্যচিত্র হলো দ্য গার্মেন্ট গার্ল অব বাংলাদেশ, দ্য আননোওন ব্যার্ড টিয়ারড্রপস অব কর্ণফুলী, রাইডার্স টু সুন্দরবনস, এ টেল অব দ্য যমুনা রিভার, 'দ্য প্রমিসড ল্যান্ড তাজউদ্দীন আহমেদ: অ্যান আনসাং হিরো, দ্য জাপানিজ ওয়াইফ, স্বপ্নভূমি এবং "১৯৭১। ব্রিটিশ ফিল্ম ইন্সটিটিউশন দ্বারা দর্শক ও সমালোচকদের মধ্যে পরিচালিত এক জরিপে তার চলচ্চিত্র নদীর নাম মধুমতি এবং চিত্রা নদীর পাড়ে বাংলাদেশের সেরা ১০ চলচ্চিত্রের মধ্যে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করে। মোকাম্মেল কবিতা, ছোটগল্প এবং চলচ্চিত্র সংস্কৃতি বিষয়ে পত্রিকায় নিবন্ধ লিখেছেন। তানভীর মোকাম্মেলের লেখা বই হচ্ছে এ ব্রিফ হিস্টোরি অব ওয়ার্ল্ড সিনেমা, দ্য আর্ট অব সিনেমা, চার্লি চ্যাপলিন: কনকোয়েস্টস বাই এ ট্র্যাম্প, সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ, সিসিফাস অ্যান্ড কোয়েস্ট অব ট্রেডিশন ইন নভেল (সাহিত্য সমালোচনা বিষয়ক একটি কাজ), গ্রান্ডভিগ অ্যান্ড ফোক এডুকেশন (বিকল্প শিক্ষাব্যবস্থার ধারণা বিষয়ক বই), এবং ম্যাক্সিম গোর্কির দ্য লোয়ার ডেফথস নাটকের অনুবাদ। মোকাম্মেল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র কেন্দ্র নামে একটি চলচ্চিত্র ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছেন। শিল্পকলায় (চলচ্চিত্র) বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ২০১৭ সালে একুশে পদক লাভ করেন। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র (প্রযোজক) - ১৯৯৯ (চিত্রা নদীর পারে), ২০০১ (লালসালু) বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ পরিচালক - ১৯৯৯ (চিত্রা নদীর পারে), ২০০১ (লালসালু) বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা - ১৯৯৬ (নদীর নাম মধুমতী), ১৯৯৯ (চিত্রা নদীর পারে), ২০০১ (লালসালু) বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার - ১৯৯৬ (নদীর নাম মধুমতী), ১৯৯৯ (চিত্রা নদীর পারে) জিওনজু চলচ্চিত্র উৎসব মনোনীত: এশীয় নব আগমন - ২০০১ (লালসালু)
1 টি নিবন্ধ

দু’টি বাউন্ডারী, একটি জ্যাক ও শেখ কামালের দু’টি স্মৃতি

ধানমন্ডী পাড়ায় যারা বড় হয়েছেন বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সঙ্গে তাদের অনেকেরই কিছু স্মৃতি…

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!