কৃষ্ণসাগরে ইউক্রেনের হামলায় রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
2 মিনিটে পড়ুন
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইকোলা ওলেশচুকের শেয়ার করা ফুটেজে বন্দরটিতে বিশাল এক বিস্ফোরণ দেখা গেছে। ছবি সংগৃহীত

কৃষ্ণসাগরে ইউক্রেনের হামলায় রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত

কৃষ্ণসাগরে ইউক্রেনের আক্রমণে রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে রাশিয়া। মঙ্গলবার সকালে রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত ক্রিমিয়ার ফিওদোসিয়াতে এ বিমান হামলা চালানো হয়।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনের বিমান রাশিয়ার বিশাল ল্যান্ডিং জাহাজ নভোকেরকাস্ককে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। এর আগে ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর প্রধান বলেন, তাঁদের যুদ্ধবিমান জাহাজটিকে ধ্বংস করে ফেলেছে।

কৃষ্ণসাগরে ইউক্রেনের হামলায় রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত
কৃষ্ণসাগর। ছবি সংগৃহীত

এ হামলায় একজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার নিযুক্ত ক্রিমিয়া প্রধান সের্গেই আকসিয়োনোভ। এ ছাড়া ছয়টি ভবন ধ্বংস হয়েছে এবং কিছুসংখ্যক মানুষকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তর করতে হয়েছে।

বন্দরটিতে পরিবহন কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলছে। হামলার কারণে আগুন লেগে যাওয়া এলাকায় মানুষের চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইকোলা ওলেশচুকের শেয়ার করা ফুটেজে বন্দরটিতে বিশাল এক বিস্ফোরণ দেখা গেছে।

তবে ছবি ও ভিডিওগুলো যাচাই করতে পারেনি বিবিসি। গত ২৪ ডিসেম্বরের স্যাটেলাইট ছবিতে ফিওদোসিয়া বন্দরে নভোকেরকাস্কের সমান দৈর্ঘ্যের একটি জাহাজ দেখা গেছে।

আজ মঙ্গলবারের হামলাই প্রথম নয়,এর আগেও ইউক্রেন বাহিনী নভোকেরকাস্ক লক্ষ্য করে হামলা করেছে।

ইউক্রেনে আরও ২০০ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
টানা ১৮ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ । ছবি সংগৃহীত

২০২২ সালের মার্চে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছিল, জাহাজটি ইউক্রেনের বেরদিয়ানস্ক বন্দরে হামলার শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ছাড়া হামলায় আরেকটি জাহাজ সারাতভ ডুবে যায়।

টেলিগ্রামে একটি পোস্টে লেফটেন্যান্ট ওলেশচুক বলেন, নভোকেরকাস্ক মস্কোভার পথেই গেছে। মস্কোভা রাশিয়ার কৃষ্ণসাগর বহরের জাহাজ ছিল, যা গত বছর সাগরে ডুবে যায়।

ক্রিমিয়া সেতুতে আবারও হামলা চেষ্টা, প্রতিশোধের হুমকি রাশিয়ার
রাশিয়ার সঙ্গে ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে সংযোগকারী ক্রিমিয়া সেতু। ছবি রয়টার্স

রাশিয়া ২০১৪ সালে ইউক্রেন থেকে ক্রিমিয়া দ্বীপপুঞ্জ দখল করে। ক্রিমিয়ার ঘাঁটিতে নিযুক্ত বাহিনী ২০২২ সালে ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে পূর্ণাঙ্গ অভিযান চালাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তখন থেকেই ক্রিমিয়ায় রুশ বাহিনীর ওপর উপর্যুপরি হামলা চালিয়ে আসছে ইউক্রেন। গত মাসে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা রুশ নৌবাহিনীর ১৫টি জাহাজ ধ্বংস করেছে।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!