সিরিয়ায় আইএস জঙ্গিদের হামলায় আসাদপন্থি ৭ যোদ্ধা নিহত
সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জঙ্গিদের হামলায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদপন্থি সাত যোদ্ধা নিহত হয়েছে। শুক্রবার ইরাক সীমান্তের বুকামালে কাছে হামলার এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পর্যবেক্ষক গোষ্ঠী সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক এনজিওটির পরিচালক রামি আব্দেল রহমান একটি আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থাকে জানিয়েছেন, হামলাকারীরা মোটরসাইকেল যোগে এসে একটি সামরিক পোস্টে গুলিবর্ষণ করে।
![সিরিয়ায় আইএস জঙ্গিদের হামলায় আসাদপন্থি ৭ যোদ্ধা নিহত 38 সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে সামরিক বাসে হামলা, ২৩ সিরীয় সেনা নিহত](http://www.samoyiki.com/wp-content/uploads/2023/08/syria-1-1024x583.jpg)
অবজারভেটরি জানিয়েছে, চলতি বছর সিরিয়ায় আইএসের হামলায় অন্তত ৩৮৫ জন আসাদপন্থি যোদ্ধা ও ১৬৫ জন বেসামরিক নিহত হয়েছে।
সিরিয়াজুড়ে অবজারভেটরির তথ্য সংগ্রহের বিস্তৃত নেটওয়ার্ক রয়েছে বলে আরব নিউজ জানিয়েছে।
রহমান জানিয়েছেন, শুক্রবার যারা নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে সিরীয়দের পাশাপাশি ‘বিদেশি যোদ্ধাও’ রয়েছেন।
২০১৪ সালে সিরিয়া ও ইরাকের বিস্তৃত অঞ্চল দখল করে নিজেদের ‘খেলাফত’ ঘোষণা করেছিল আইএস। পরে দেশ দু’টি আন্তর্জাতিক জঙ্গিবিরোধী জোটের সমর্থন নিয়ে আইএসের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হয়েছে, ২০১৯ সালে এমন ঘোষণা দেওয়া হলেও আইএসের ছোট ছোট সেলগুলো সেখানে গেরিলা কায়দায় হামলা চালানো অব্যাহত রেখেছে। আর তাদের দমনের কথা বলে আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা দেশগুলোর বাহিনীও সেখানে রয়ে গেছে।
![সিরিয়ায় আইএস জঙ্গিদের হামলায় আসাদপন্থি ৭ যোদ্ধা নিহত 39 সিরিয়ায় আইএস জঙ্গিদের হামলায় আসাদপন্থি ৭ যোদ্ধা নিহত](http://www.samoyiki.com/wp-content/uploads/2023/08/syria-1024x567.jpg)
২০১১ সালে সিরিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দমনকে কেন্দ্র করে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। এই গৃহযুদ্ধের মধ্যেই শক্তি সঞ্চয় করে দেশটির বিশাল এলাকা দখল করে নিয়েছিল আইএস। ১২ বছরের বেশি সময় ধরে চলা ওই রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে চলেও এলেও দেশটি কয়েকটি প্রভাব বলয়ে বিভক্ত হয়ে আছে।
![সিরিয়ায় আইএস জঙ্গিদের হামলায় আসাদপন্থি ৭ যোদ্ধা নিহত 40 যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে নতুন করে সংঘর্ষ, নিহত ২৫](http://www.samoyiki.com/wp-content/uploads/2023/09/syria-1024x578.jpg)
প্রেসিডেন্ট বাশারের অনুগত বাহিনীগুলো মিত্র রাশিয়া ও ইরানের সমর্থন নিয়ে অধিকাংশ এলাকা পুনরুদ্ধার করলেও কিছু অংশ তাদের প্রভাব বলয়ের বাইরেই রয়ে গেছে।