লেবাননে ফিলিস্তিনি শরণার্থী ক্যাম্প সশস্ত্র সংঘাতে রণক্ষেত্র

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
2 মিনিটে পড়ুন
দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি লড়াইয়ে ভীতি ছড়িয়ে শরণার্থী ক্যাম্পে। ছবি এপি

লেবাননে ফিলিস্তিনি শরণার্থী ক্যাম্প সশস্ত্র সংঘাতে রণক্ষেত্র

লেবাননে ফিলিস্তিনি শরণার্থী ক্যাম্পে ফাতাহ ও তার বিরোধীদের মধ্যে সশস্ত্র সংঘাত তৃতীয় দিনে গড়িয়েছে। দুপক্ষের মুখোমুখি লড়াইয়ে কমান্ডারসহ এখন পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত অর্ধশত।

লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর নগরী সিডনের কাছে ‘আইন আল হেলওয়েহ’ নামের ফিলিস্তিনের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবিরে এ ঘটনা চলছে। ফিলিস্তিন ও লেবানিজ কর্তৃপক্ষ সংঘাত থামাতে মধ্যস্থতার চেষ্টা করলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। পরিস্থিতি গুরুতর হওয়ায় আশপাশের এলাকায় লোকজনের চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে লেবাননের সেনাবাহিনী।

Untitled 2 112 লেবাননে ফিলিস্তিনি শরণার্থী ক্যাম্প সশস্ত্র সংঘাতে রণক্ষেত্র
সংঘর্ষ চলাকালে শরণার্থী শিবিরের প্রবেশদ্বারের কাছে অবস্থান নিয়েছিল ফাতাহ যোদ্ধারা। ছবি এএফপি

সেখানে থাকা আল জাজিরার প্রতিনিধি জেনিয়া খদর জানান, ‘সংঘর্ষের তীব্রতা আরও বেড়েছে। সত্যিই মানবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। অনেক পরিবার ক্যাম্প থেকে কোনও মতে পালিয়েছে। এখনও অনেকে ভেতরে আটকা পড়েছে। কারণ, বের হওয়াটা বিপজ্জনক। কেউ কেউ মসজিদে আশ্রয় নিয়েছেন।’

দুই পক্ষের লড়াইয়ে শরণার্থী ক্যাম্পে সাময়িকভাবে সব ধরনের সহায়তা কার্যক্রম স্থগিত করেছে জাতিসংঘ

ঘটনার সূত্রপাত, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের ফাতাহ আন্দোলন ও প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামপন্থি দলগুলোর মধ্যে এ সংঘর্ষ। শনিবার একজন অজ্ঞাত বন্দুকধারী মাহমুদ খলিল নামে সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যকে হত্যা করতে এসেছিল। কিন্তু তাকে না পেয়ে তার সঙ্গীকে গুলি করে মারে।

Untitled 2 1 লেবাননে ফিলিস্তিনি শরণার্থী ক্যাম্প সশস্ত্র সংঘাতে রণক্ষেত্র
গোলাবর্ষণে শরণার্থী ক্যাম্পে ধোঁয়া। ছবি এপি

পরের দিন রবিবার সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায় ক্যাম্পে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা জানান, প্রতিশোধ নিতে যোদ্ধারা ফাতাহ দলের সামরিক জেনারেল আবু আশরাফ আল-আরমুশি ও তিনজনকে গুলি করে হত্যা করে। এরপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।

Untitled 4 72 লেবাননে ফিলিস্তিনি শরণার্থী ক্যাম্প সশস্ত্র সংঘাতে রণক্ষেত্র
সংঘর্ষের সময় ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবির থেকে পালিয়ে আসা কয়েকজন বাসিন্দা । ছবি রয়টার্স

লেবাননের আইনপ্রণেতা ওসামা সাদ সোমবার বিকেলে লেবাননের কর্মকর্তা, নিরাপত্তা বাহিনী ও ফিলিস্তিনি দলগুলোর মধ্যে বৈঠকের পর যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন। তারপরও লড়াই থামেনি।

জাতিসংঘের পরিসংখ্যানে জানা গেছে, বৃহত্তর এই ক্যাম্পে ৫৫ হাজার লোকের বসবাস। ১৯৪৮ সালে নাকবা বিপর্যয়ের সময় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জায়গায় হয়েছিল এখানে।

সূত্র: আল জাজিরা

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!