বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ মারা গেছেন

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
3 মিনিটে পড়ুন
জোসে পাউলিনো গোমেস। ছবি সংগৃহীত

বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ মারা গেছেন

বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত মানুষের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত জোসে পাউলিনো গোমেস ১২৭ বছর বয়সে মারা গেছেন। গত ২৯ আগস্ট ব্রাজিলের কোরেগো ডেল ক্যাফে গ্রামে নিজ বাড়িতে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।

বার্ধক্যজনিত কারণে দেহের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে গিয়েছিল গোমেসের। তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, নিজের ১২৮তম জন্মদিন পালনের মাত্র ৭ দিন আগে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি।

জোসে পাওলিনো গোমেস বিয়ে করেছিলেন ১৯১৭ সালে। যে গ্রামে তিনি থাকেন, তার নিকটবর্তী শহর পেদ্রা বনিতার একটি রেজিস্ট্রি অফিসে নিবন্ধিত হওয়া সেই বিয়ের সনদ অনুসারে, তার জন্ম হয়েছিল ১৮৯৫ সালের ৪ আগস্ট।

নিজের জীবদ্দশায় দু’টি বিশ্বযুদ্ধ এবং তিনটি বৈশ্বিক মহামারি প্রত্যক্ষ করেছেন পাওলিনো গোমেস। তার পেশা ছিল পশুপালন।

আত্মীয়-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব ও পরিচিতদের কাছে বিনয়ী ও সাধারণ মানুষ হিসেবে পরিচিত গোমেসের স্বাস্থ্যগত অবস্থা রীতিমতো অসাধারণ ছিল। পরিবারের সদস্য এবং কোরেগো ডেল ক্যাফে গ্রামের লোকজন জানিয়েছেন, মাত্র ৪ বছর আগেও নিয়মিত ঘোড়ায় চেপে চলাচল করতেন তিনি।

শহর এবং কোলাহল থেকে দূরে থাকতে ভালবাসতেন গোমেস। সারাজীবন নিজের গ্রামেই কাটিয়ে দিয়েছেন তিনি। গ্রামে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত শস্য, শাক-সবজি, ফলমূল, মাছ-মাংস খেতেন; মাঝে মাঝে মদ্যপানও করতেন গোমেস।

মৃত্যুকালে গোমেস তার ৭ সন্তান, ২৫ জন নাতি-নাতনি, ৪২ জন নাতি-নাতনির ঘরের ৪২ জন সন্তান এবং তাদের আরও ১১ সন্তান রেখে গেছেন বলে জানা গেছে।

জোসে পাওলিনো গোমেস মারা যাওয়ার পর বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ বর্তমানে স্পেনের মারিয়া ব্রায়ানিয়াস মোরেরা। বর্তমানে তার বয়স ১১৫ বছর।

গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডের রেকর্ড অনুসারে, বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘজীবন অতিবাহিত করা মানুষটির নাম জেন ক্লেমেন্ত। ১৯৯৭ সালে ১২২ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ফ্রান্সের এই নারী।

পাওলিনো গোমেসের নাতনি এলিয়েনে ফেরেইরা’র অবশ্য বিশ্বাস তার দাদুর বয়স ১২৭ বছরের বেশি। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমাদের গ্রামের দিকে সঠিকভাবে জন্মতারিখ নিবন্ধিত হয় না। অনেকেই তার প্রকৃত জন্ম সাল ও তারিখ গোপন করেন। তাই আমি মনে করি, বিয়ের নিবন্ধনে দাদুর যে জন্মসাল দেওয়া হয়েছে, তার চেয়েও অন্তত ২-৩ বছর আগে তার জন্ম হয়েছিল।’

‘আমরা তার মৃত্যুর বিষয়টি গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডকে জানিয়েছি। তার মৃত্যুসনদ ও আনুষাঙ্গিক নথিপত্রও পাঠিয়েছি,’ বলেন এলিয়েনে ফেরেইরা।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!