মারিউপোলে গণহত্যার অভিযোগ ইউক্রেনের বিরুদ্ধে

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
3 মিনিটে পড়ুন

ইউক্রেনের উপকূলীয় শহর মারিউপোলে হাজার হাজার বেসামরিক মানুষকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে দেশটির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার এক বিবৃতিতে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা দ্য ইনভেস্টিগেটিভ কমিটি অব রাশিয়ান ফেডারেশন জানিয়েছে এ তথ্য।

সম্প্রতি মারিউপোলের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩ হাজারেরও বেশি দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা।

ইউক্রেনের (বর্তমানে রাশিয়ার ভূখণ্ড) দনেতস্ক প্রদেশের বন্দর শহর মারিউপোলে গত ফেব্রুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত তীব্র যুদ্ধ হয়েছে রুশ ও ইউক্রেনীয় বাহিনীর সেনাদের মধ্যে। ব্যাপক সংঘাত শেষে গত ২১ মে ইউক্রেনের সেনারা আত্মসমর্পণ করতে সম্মত হয়।

যুদ্ধ চলার সময় গোলাবারুদের আঘাত থেকে সাধারণ বেসামরিক লোকজনকে রক্ষা করতে সে সময় মারিউপোলে কয়েকটি মানবিক করিডোর খুলে দিয়েছিল রুশ বাহিনী। বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, মারিউপোলের বাসিন্দারা এসব করিডোর দিয়ে নিরাপদে অন্য শহরে চলে যেতে পারবেন এবং করিডোর তার আশপাশে এলাকায় রুশ সেনারা কোনো আঘাত করবে না।

কিন্তু ইউক্রেনীয় বাহিনী বেসামরিক লোকজনকে এসব করিডোরের কাছে ঘেঁষতে দেয়নি এবং জোর করে শহরে আটকে রেখেছিল বলে শুক্রবারের বিবৃতিতে অভিযোগ করে দ্য ইনভেস্টিগেটিভ কমিটি অব রাশিয়ান ফেডারেশন।

বিবৃতিতে এ সম্পর্কে বলা হয়, ‘মারিউপোলে যাদের দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে, সেই হতভাগ্য লোকজনের কারোরই শহর ত্যাগ করার উপায় ছিল না। ইউক্রেনীয় বাহিনী তাদের জোর করে আটকে রেখে কার্যত মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছিল। গোলার আঘাতে, খাদ্য-পানীয়-ওষুধ ও চিকিৎসার অভাবে ধুঁকে ধুঁকে তাদের মৃত্যু হয়েছে।’

শুক্রবার দ্য ইনভেস্টিগেটিভ কমিটি অব রাশিয়ান ফেডারেশনের প্রধান নির্বাহী আলেক্সান্দার বাস্ত্রিকিন কমিটির মারিউপোল শাখার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানেই এসব তথ্য তুলে ধরেন কর্মকর্তারা। পরে তা বিবৃতি আকারে প্রকাশ করা হয়।

আজভ সাগরের তীরবর্তী মারিউপোল শহরটি কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল রুশ বাহিনীর কাছে। ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকেই এই শহরটি নিজেদের দখলে নেওয়ার চেষ্টায় ছিল রাশিয়ার সেনাবাহিনী।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর ২ মার্চ মারিউপোলে প্রবেশ করে রুশ সেনারা। প্রান্তিক বিভিন্ন এলাকা দখলের পর ৪ মার্চ শহরটির কেন্দ্রীয় অঞ্চলের দিকে এগোতে শুরু করে রুশ বাহিনী। প্রায় আড়াই মাস তীব্র সংঘাতের পর রুশ সেনাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে ইউক্রেনীয় বাহিনী।

মারিউপোলে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর ইউনিট দেশটির অন্যান্য সেনা ইউনিট থেকে আলাদা। জাতীয় সেনা কমান্ডে যুক্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত এই ইউনিটটি কট্টর ডানপন্থী একটি মিলিশিয়া বাহিনী ছিল। ‘আজভ ব্যাটালিয়ম’ নামের এই ব্যাটালিয়নটি গঠিত হয়েছিল ২০১৪ সালে।

সূত্র : আরটি

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!