ঘূর্ণিঝড় ফ্রেডির ধ্বংসযজ্ঞের পর মালাউইতে কলেরার প্রাদুর্ভাব বাড়ার আশঙ্কা
মালাউইতে ঘূর্ণিঝড় ফ্রেডির ধ্বংসযজ্ঞে পানির ব্যবস্থা এবং টয়লেট ধ্বংস করেছে । যা উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে যে দেশটির কলেরা প্রাদুর্ভাব আরও খারাপ হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্মরণকালের দীর্ঘতম গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ে বিপর্যস্ত আফ্রিকার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল। ফেব্রুয়ারির শেষে প্রথম দফায় আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ফ্রেডি। এর পর গত সপ্তাহে দ্বিতীয় দফায় তাণ্ডব চালায় এই ঝড়। ফ্রেডির আঘাতে মোজাম্বিক, মালাউই ও মাদাগাস্কারে মৃতের সংখ্যা এরই মধ্যে ৫০০ ছাড়িয়েছে।
মালাউইয়ান স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ ঘূর্ণিঝড় ফ্রেডির কারণে সৃষ্ট ধ্বংসযজ্ঞে পানির ব্যবস্থা এবং টয়লেট ধ্বংস হয়েছে ফলে কলেরার ঝুঁকি বৃদ্ধির বিষয়ে সতর্ক করেছে।
দেশটিতে গত বছর শুরু হওয়া কলেরার প্রাদুর্ভাবে ১ হাজার ৭শ’র বেশি মানুষ মৃত্যুবারণ করেছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে হেলথ সার্ভিস ডিরেক্টর স্টরন কাবুলুজি বলেছেন, “বন্যায় মানুষের টয়লেট ভেসে গেছে এবং বেশির ভাগ মানুষের কাছে নিরাপদ পানীয় জল নেই।”
ঘূর্ণিঝড়ে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে কয়েক লাখ মানুষ।
ইউনিসেফের পূর্ব ও দক্ষিণ আফ্রিকার আঞ্চলিক পরিচালক মোহাম্মদ মালিক ফল বলেছেন, “সঙ্কট ও বিশৃঙ্খলার মুখে শিশুরাই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।”
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মনুষ্যঘটিত জলবায়ু পরিবর্তনের জেরেই এমন বিপর্যয়। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ইদানীং ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে অতিবৃষ্টি স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঘন ঘন ঘূর্ণিঝড়ের মতো দুর্যোগ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই বলে দাবি তাঁদের। এপ্রিল পর্যন্ত এমন ঝড়ের প্রকোপ চলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।