একুয়েডরে কারাগারে সহিংসতা, মৃত্যু ৩১

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
3 মিনিটে পড়ুন
গুয়াইয়াকিল শহরের একটি কারাগারে অপরাধী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন বন্দি নিহত হওয়ার পর একটি গেইট পাহারায় সেনারা। ছবি রয়টার্স

একুয়েডরে কারাগারে সহিংসতা, মৃত্যু ৩১

একুয়েডরের সবচেয়ে বিপজ্জনক কারাগারে শনি ও রোববারের সহিংসতায় মৃতের সংখ্যা মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ৩১ জনে দাঁড়িয়েছে বলে দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছেন। এর আগে দেশটির সরকার কারাগারগুলোতে দুই মাসের জরুরি অবস্থা জারি করেছিল।

এক বিবৃতিতে দেশটির সরকার বলেছে, জরুরি ঘোষণাটিই ইসমিরালডাস শহরে সহিংসতা শুরুর কারণ হয়েছে বলে মনে হচ্ছে, এখানে স্থানীয় কারাগারে ১৫ জন কারারক্ষী ও অন্য দু’জন কর্মীকে জিম্মি করে রাখা হয়েছিল।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইসমিরালডাস শহরে পুলিশের একটি ইউনিটের ওপর হামলা চালানো হয়, পেট্রল পাম্পে বোমা পেতে রাখা হয় এবং বেশ কয়েকটি গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তর বলেছে, শহরটিতে তাদের দপ্তরে ককটেল হামলায় এক বেসামরিক আহত হয়েছে।

দুই মাসের জরুরি অবস্থা জারির পর গুয়াইয়াকিল শহরের পেনিতেনশিয়ারিয়া দেল লিতোরাল কারাগারে ব্যাপকভাবে সজ্জিত ২৭০০ সেনা ও পুলিশ প্রবেশ করে। তারা নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ চালিয়ে তিনটি সেলব্লকের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করে।

দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) করা এক পোস্টে এই কারগারটিতে মৃতের সংখ্যা ১৮ থেকে বাড়িয়ে ৩১ জন করে আর আহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানায়।

সরকার জানিয়েছে, দেশব্যাপী ছয়টি কারাগারে জিম্মি করে রাখা প্রায় ১২০ জনের মতো কর্মকর্তাকে মুক্ত করা হয়েছে।

বেশ কয়েকটি কারাগারে অনশন ধর্মঘট শুরু হয়েছে, এমন কথা শোনা গেলেও সরকারিভাবে এ বিষয়ে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।

একুয়েডরে কারাগারে সহিংসতা, মৃত্যু ৩১
সহিংসতা নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রেসিডেন্ট গিয়েরমো লাসো কারাগারগুলোতে নিয়মিত জরুরি অবস্থা জারি করে চলছেন। ছবি রয়টার্স

আগামী ২০ অগাস্ট একুয়েডরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিছু প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী নির্বাচিত হলে কারাগার সংস্কার করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এই নির্বাচনের আগে দেশটির কারাগারগুলোতে এসব সহিংসতা শুরু হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট গিয়েরমো লাসো জরুরি অবস্থা জারি করে যে ডিক্রি স্বাক্ষর করেছেন তা অনুযায়ী, গুয়াইয়াকিলের বন্দিরা সহিংসতা চলার সময় আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছে এবং কারাগারটিতে আগুন ধরাতে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করেছে।

রোববার সান্তা শহরের মেয়র আগুস্তিন ইন্ত্রিয়াগো গুলিতে নিহত হওয়ার পর লাসো সোমবার মানাবি ও লস রিওস প্রদেশে এবং দুরান শহরে জরুরি অবস্থা জারি করেন।

সরকার জানিয়েছে, একুয়েডরের কারাগারগুলোতে নিয়ন্ত্রণ ফিরে না আসা পর্যন্ত এবং বন্দি ও কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সামরিক হস্তক্ষেপ অব্যাহত থাকবে।

২০২১ সাল থেকে একুয়েডরের কারাগারগুলোতে সহিংসতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। তারপর থেকে একের পর এক সহিংসতায় এ পর্যন্ত কয়েকশ বন্দির মৃত্যু হয়েছে। এসব সহিংসতা নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রেসিডেন্ট লাসো কারাগারগুলোতে নিয়মিত জরুরি অবস্থা জারি করে চলছেন।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!