ছয়টি কবিতা: কবি বর্ণজিৎ বর্মন

বর্ণজিৎ বর্মন
বর্ণজিৎ বর্মন
2 মিনিটে পড়ুন

হাততালির পর্বত

বৃষ্টি হচ্ছিল সেদিন দুপুরে
নদী গুলি সব মনের খুব কাছে ঘেষে বসে
নমস্কার বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়
আলোবিস্তৃত সবুজ ঘাসকে ডেকে নেয় চাঁদ
অসীম সাহস পেলে মানুষ কি না করে
তাই আমিও সুযোগের গাছ লাগাই
কবিতা পাঠ করি পাগল কিন্তু সচেতন বাদামি বুদ্ধির স্থির চালে
সূর্য নেমে এসেও ডুবে গেলো
গোপন মেঘের নির্মীয়মাণ আড়ালে
মহাকাশ হয়ে ওঠে আমার দিনহাটা মহকুমা
ইচ্ছের ফসল মাঠে পড়ে আছে
হাততালির পর্বত ভেঙে তুলতে হবে
জল ঘোলা ভোরের কাগজের চিত্রনাট্য ঘরে

পরাস্ত

সচরাচর বাতাসের কাছে
পরাস্ত হই
দিন কে বলি দাঁড় করাও
উঠে পড়ি-
রাত শুইয়ে দেয়
বর্ষা সৃষ্টির দেবতা
নতজানু হই, বাবাও হয়
গল্প রান্না হয় খেতে
ফসল কেটে নেয় অগাধ রাজনীতি
শিক্ষিতের মুণ্ডু গড়াগড়ি খায়
এবড়ো খেবড়ো রাস্তা
অথবা
দৈনিক সংবাদের রঙিন পাতায়
আমরা গলা তুলতে অক্ষম
কে যেনো চেপে রাখে পরিপাটি
এই যুগ এই সময় সততার নয়
মাথা নিচু করে রাস্তা হাঁটি

জয়ী

আজকাল মৃত্যু পাখি
ঘাড়ের উপর বসলে ভয় পাই না
দরিদ্র সমুদ্রে ভেসে থাকি
জাল ফেলি জলে
ডিঙি নৌকা টলমল করে
উপবাসী জ্যোৎস্না ইশারায় বলে
নাবিক হতাশার দুয়ারে আঘাত হানো
সাফল্য আর ফসল
ঘরে পৌঁছে যাবে

যাপন

সব রঙ রঙিন হয় না –
বেরঙেরও একটি নিজস্ব রঙ থাকে
যা আমরা দেখতে পাই না।
অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু
ভেবে ভেবে
নদী দিয়ে শুধু বয়ে গেছে জল
আষাঢ়ের বুক ভেঙ্গে নেমে এসেছে দুঃখের বৃষ্টি
না, কেউ ছিল না দেখার, শোনারও
অথচ অনেক মেসেজ করেছি
হোয়াটআপস, মেসেঞ্জারে
নো রিপ্লাই বাট ভিউ
আশার যে গাছে জল দেই দু বেলা
তা ক্রমশ নিষ্প্রয়োজনের স্থান দখল করে
এভাবে একটি চলমান যাপন
প্রতিশ্রুতির ঘেরাটোপে কুলকুল করে বয়ে যাচ্ছে
সমস্ত শতাব্দি জুড়ে
ক্রমশ ফুরিয়ে যাচ্ছে দিন-রাত

মেঘ

ইদানীং মা’এর শাড়িতে মেঘ জমলে
পাখি আর নদীর ভীষণ ভয় পায় , কালবৈশাখির ভয়
অদূরে হারিয়ে যাওয়ার ভয়
জীবনের প্রতিটি পরতে পরতে
আগলে রাখা স্নেহের কোটা ঘর ভেঙে গেলে
নিংড়ানো ভালোবাসার শব্দগুলি রামধনু থেকে বিদায় নেবে
ভয় হয় কালো মেঘ খেলতে আসলে বাড়ি উঠোনে –
ঝড়ের কবলের ভিতর নিজস্ব দুয়ার খোঁজা কি কঠিন
সে সময় শুধু জানে
পিতা যেদিন ইহলোক ত্যাগ করে
বুকে উথলে উঠেছিল হাজার ফণির ফণা
কতো অকরুণ , কতো বজ্রাঘাত ভরা
ভয় হয়,
মেঘ জমলে ভয় পায়
ছেলে ও মেয়েটা-

মারাত্মক মিস

একটি বিপজ্জনক বিপ্লবের
মারাত্বক মিস করছি
রিবেল দরকার গাছের একদম পাতায় পাতায়
কিন্তু
তা হচ্ছে গাছে বসে থাকা পাখির মনে মনে
এভাবে র‍্যাডিক্যাল রিফর্ম হবে না।
চলো পথে নামি
নিজের অস্তিত রক্ষায়
অনেক দিন হলো
একটি মারাত্বক বিপ্লব মিস করছি
গোঁসাই

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
জন্ম কোচবিহার জেলার গোসানিমারতে ১৯৯০ সালের জুন মাসে। নবম শ্রেণীতে পড়ার সময় থেকেই মূলত কবিতা লেখা শুরু। এখন গল্প, প্রবন্ধ, গবেষণা মূলক প্রবন্ধ, মুক্ত গদ্য লিখছি। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে সাম্মানিক সহ বি এ, এম এ, এম.ফিল। এখন পি এইচ ডি চলছে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি বিষয়ে - রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০১৮ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিষয়ে সর্বভারতীয় ইউ জি সি নেট উত্তীর্ণ এবং ২০২০ সালে পশ্চিমবঙ্গ সেট উত্তীর্ণ। ২০১০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত কবিতা প্রকাশিত হচ্ছে বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায়, লিটল ম্যাগাজিন এবং ই ম্যাগাজিনে। বিশেষ পত্রিকা হলো উত্তরবঙ্গ সংবাদ, উত্তরের সারাদিন , কবিতা পাক্ষিক, কবিতা আশ্রম, যুগশঙ্খ, জিরো বাউন্ডারি, মুক্ত চিন্তা, বিবর্তন, চিত্রকল্প, শব্দলেখা, বজ্রকন্ঠ, উজ্জ্বল এক ঝাক পায়রা, ইত্যাদি আরো অনেক পত্রিকায় নিয়মিত লেখা প্রকাশিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেক কবিতা সংকলনে কবিতা প্রকাশিত হয়েছে।
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!