যাত্রী সংকট ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সমন্বয় করে এবার রোটেশন প্রথা চালু করলেন লঞ্চ মালিকরা। ঢাকা-বরিশাল রুটে দিনে মোট ছয়টি লঞ্চ চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালিকপক্ষ। এরমধ্যে ঢাকা থেকে তিনটি লঞ্চবরিশালে আসবে এবং বরিশাল থেকে তিনটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় লঞ্চ মালিকদের সংগঠন অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল যাত্রী পরিবহন সংস্থার সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা-বরিশাল রুটে চলাচলকারী ১৮টি লঞ্চের ১০ জন মালিক সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত মেনে চলতে যৌথ স্বাক্ষর করেছেন। আগামীকাল বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) থেকে ছয়টি দলে বিভক্ত হয়ে রোটেশন পদ্ধতিতে লঞ্চ চলবে। ওই সভায় গৃহীত অন্য সিদ্ধান্তগুলো হলো- ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চ সকাল ৫টার মধ্যে বরিশাল নদী বন্দরে পৌছাবে এবং বরিশাল থেকে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চ ঢাকায় পৌঁছাবে সকাল ৬টার মধ্যে। পথে এ রুটের কোনো লঞ্চ অন্য লঞ্চকে ওভারটেক করতে পারবে না।
অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল যাত্রী পরিবহন সংস্থার সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর ঢাকা-বরিশাল নৌপথে যাত্রী সংকট শুরু হলেও ভাড়া কমিয়ে কিছুটা লোকসান কমানো সম্ভব ছিল। কিন্ত জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পর লঞ্চ মালিকদের চূড়ান্ত ক্ষতি হয়েছে। কারণ ভাড়া বাড়াতে হয়েছে। ভাড়া বাড়ানোর ফলে কেবিনের যাত্রী ২০-৩০ শতাংশের বেশি পাওয়া যায় না। প্রতি ট্রিপে লোকসান দিতে হয় ২-৩ লাখ টাকা। এ অবস্থায় আমরা প্রতিদিনের লোকসান ঠেকাতে নতুন রোটেশন প্রথা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বুধবার থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল যাত্রী পরিবহন সংস্থার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাবুব উদ্দিন আহমেদের (বীর বিক্রম) সভাপতিত্বে সভায় সংস্থার সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জমান, ঢাকা নদী বন্দর থেকে নৌ চলাচল ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক মো. মামুন অর রশিদ, সুন্দরবন নেভিগেশনের মালিক সাইদুর রহমান রিন্টু, সালমা শিপিং করপোরেশনের মনজুরুল হক ফেরদৌসসহ লঞ্চ মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।