সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের কারাকক্ষে ওসির তল্লাশির অভিযোগ

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
2 মিনিটে পড়ুন

কারাগারে বন্দি স্ত্রী মিতু হত্যা মামলার আসামি সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের কারাকক্ষে ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তল্লাশি চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে, বিষয়টি তদন্তে আদালতে আবেদন করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছার আদালতে সোমবার বাবুলের পক্ষে আবেদনটি করেন আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী মনির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘সকালে আবেদনের পর কিছুক্ষণ আগে শুনানি হয়েছে। আদালত আবেদনটি আদেশের জন্য রেখেছেন।’

আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ দাবি করেন, ‘নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে পিবিআইয়ের প্রধান বনজ কুমার মজুমদারসহ ৬ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার আবেদনের পর আসামিরা মারমুখী আচরণ করছেন। তাদের নির্দেশে শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ফেনী মডেল থানার ওসি নিজাম উদ্দিন জেল কোডের তোয়াক্কা না করে কারাগারে বাবুলের কক্ষে প্রবেশ করেন।

‘তিনি (ওসি) দীর্ঘ সময় ওই কক্ষে তল্লাশির নামে বাদীর জীবনের ক্ষতি করার চেষ্টা করেন। সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করলে এর সত্যতা পাওয়া যাবে।’

তিনি আরও জানান, জেল কোড অনুসারে কর্মরত কোনো পুলিশ কর্মকর্তা কোনোভাবেই জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও আদালতের লিখিত অনুমতি ছাড়া জেলখানায় প্রবেশ করতে পারেন না।

আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ বলেন, ‘এই যাত্রায় আসামিরা সফল না হলেও অভিযোগকারী বাবুল আক্তার ও তার পরিবারের জীবননাশসহ যেকোনো ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন। তাই বাবুল আক্তারের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আদালতে তার পক্ষে পিটিশনটি (আবেদন) করেছি।’

তবে জেল সুপারের কক্ষে যাওয়ার কথা স্বীকার করলেও কারাগারে বাবুল আক্তারের কক্ষে যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন।

তিনি বলেন, ‘আমি একটি মামলার বিষয়ে কারাগারের সুপার মহোদয়ের কক্ষে গিয়েছিলাম। ওই দিন বিকেলে একজন জিজ্ঞাসা করায় প্রথম জানতে পারি যে স্যার (বাবুল আক্তার) এখানে আছেন। এখানে তো ওনার মামলা বা তদন্ত সম্পর্কিত কিছু নাই। আমি তো কোনোভাবে ওনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট না। আমি কোন ক্ষমতাবলে ওনার কক্ষে যাব?’

জেল সুপার আনোয়ারুল করিম বলেন, ‘বাবুল আক্তারের কক্ষে ওসি যাননি। ওই দিন উনি থানার মামলাসংক্রান্ত কী যেন কাজে এসেছিলেন। দুই থেকে তিন মিনিট পর চলে গেছেন। বাবুল আক্তারের কক্ষে গিয়ে তল্লাশির অভিযোগ সত্য নয়।’

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!