সুইস ব্যাংকের কাছে বাংলাদেশ নির্দিষ্ট কোনও তথ্য চায়নি: রাষ্ট্রদূত

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
2 মিনিটে পড়ুন

সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশিদের টাকার বিষয়ে সুইস ব্যাংকের কাছে বাংলাদেশ নির্দিষ্ট কোনও তথ্য চায়নি বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত সুইস রাষ্ট্রদূত নাতালি চুয়ার্ড। বুধবার (১০ আগস্ট) ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসাসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত টকে তিনি এ তথ্য জানান।

সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক-এসএনবির জুন মাসে প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশিরা প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ অর্থ গতবছরে সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে জমা করেছেন। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে সুইজারল্যান্ডে বাংলাদেশিদের আমানত দাঁড়িয়েছে ৮৭ কোটি ১১ লাখ সুইস ফ্রাঁ। প্রতি ফ্রাঁ বাংলাদেশি ৯৫.৭০ টাকা হিসাবে মোট টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৩৩৩ কোটি, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ।

ডিক্যাবের ওই টকে বাংলাদেশ-সুইজারল্যান্ড বাণিজ্যিক সম্পর্ক, বিনিয়োগ, রোহিঙ্গা সহযোগিতা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সুইস রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, ‘তথ্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে কী করতে হবে সে বিষয়ে আমরা সরকারকে জানিয়েছি, কিন্তু নির্দিষ্ট কোনও তথ্যের জন্য আমাদের কাছে অনুরোধ করা হয়নি।’

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রাখার ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দুই পক্ষের সম্মতির ভিত্তিতে এ ধরনের তথ্য আদান-প্রদান করা সম্ভব এবং সেটি তৈরি করতে হবে। এটি নিয়ে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করছি।’

সুইস ব্যাংক ওই দেশের মোট দেশজ উৎপাদনে ১০ শতাংশের মতো অবদান রাখে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের ব্যাংকগুলো অবৈধ অর্থ রাখার নিরাপদ স্থান নয়।’

তিনি জানান, বৈশ্বিক আর্থিক খাতে সুইস ব্যাংকগুলো বিভিন্ন ধরনের সংস্কার করেছে এবং নতুন ও উন্নত মানদণ্ড তৈরি করছে। তারা অবৈধ অর্থ রাখার জন্য প্রলুব্ধ করে, এটি ঠিক নয়।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশিরা কত টাকা জমা রেখেছে, ওই তথ্য প্রতি বছর সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক দিয়ে থাকে। ওই অর্থ অবৈধপথে আয় করা হয়েছে কিনা, এটি আমাদের পক্ষে বলা সম্ভব নয়।’

দুই দেশের মধ্যে গত এক দশকে বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বর্তমানে এর পরিমাণ প্রায় ১০০ কোটি ডলার জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশে অনেকগুলো সুইস কোম্পানির উপস্থিতি রযেছে এবং আমরা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধির চেষ্টা করছি।’

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য সুইজারল্যান্ড কাজ করছে এবং তাদের জন্য মানবিক সহায়তা দিচ্ছে জানিয়ে নাতালি চুয়ার্ড বলেন, ‘আমরা এই সমস্যার সমাধান চাই। এর জন্য রাখাইনে যে সহায়ক পরিবেশ তৈরি করার প্রয়োজন, সেটি এখনও তৈরি হয়নি। আমরা সেটি সবাই মিলে করার চেষ্টা করছি।’

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!