নাটোরে সুদখোর মহাজনের টাকার চাপে যুবকের আত্মহত্যা

নাটোর প্রতিনিধি
নাটোর প্রতিনিধি
2 মিনিটে পড়ুন
ছবি: মাহাবুব খন্দকার

নাটোরের বড়াইগ্রামে সুদখোর সেকেন্দারের (৫৫) টাকার চাপে শামীম প্রামানিক (২৫) নামে এক যুবকের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত শামীম উপজেলার বনপাড়া পৌরসভার আটুয়া গ্রামের জামাল প্রামানিকের ছেলে।

নিহতের পরিবার সুত্রে জানা যায়, শামীম তার অভিভাবকদের অজান্তে মাঝগাঁও ইউনিয়নের লাথুরিয়া গ্রামের পলান প্রামানিকের ছেলে সেকেন্দারের কাছ থেকে আট মাস আগে ১০ হাজার টাকা নেয়।সেকেন্দারকে দুই কিস্তি সুদের টাকাও দেয়।পরে শামীম টাকা দিতে না পারায় বেশ কিছুদিন ঢাকায় অবস্থান করে।

কয়েকদিন আগে সে গোধড়া গ্রামে নানার বাড়ি আসে।ঐদিন দুপুরে সেকেন্দার লোকজন সহ নানার বাড়িতেই শামীমকে আটক করে এবং টাকা না দিলে গাছে টাঙ্গিয়ে মারধরের হুমকি দেয়।

এ সময় শামীম সুদখোরদের হাত থেকে রক্ষা পেতে টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। নিহত শামীম টাকার জোগাড় করতে না পেরে মঙ্গলবার (২২জুন) সন্ধ্যায় অপমানে ইদুর মারা গ্যাসের বড়ি খেয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে স্বজনরা তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

এদিকে সুদ ব্যবসায়ী সেকেন্দারের ভয়ে আটুয়ার ১০/১২ জন লোক গ্রামছাড়া রয়েছে বলে জানা গেছে। তাছাড়াও চড়া সুদে টাকা দিয়ে ফাঁকা চেক নিয়ে বিভিন্নভাবে মামলার মাধ্যমে হয়রানির শিকার হয়েছে অন্তত ১০/১২ টি পরিবার। জায়গা জমি বিক্রী করে তারা আজ অসহায়।

করোনা ভাইরাসের চেয়েও ভয়ঙ্কর সুদ ব্যবসায়ী সেকেন্দারকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

এব্যপারে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সুদখোর সেকেন্দারের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!