বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ৩০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
3 মিনিটে পড়ুন
বিশ্ব ব্যাংক । ফাইল ছবি

কোভিড-১৯ এবং ভবিষ্যৎ সংকটের সময় শহরাঞ্চলের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশকে ৩০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক।

রোববার (৭ আগস্ট) বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে এ সংক্রান্ত ঋণ চুক্তি করে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)। সংস্থাটির পক্ষে কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন এবং বাংলাদেশের পক্ষে ইআরডির সচিব শরিফা খান ঋণ চুক্তিতে সই করেন।

বিশ্বব্যাংক জানায়, বাংলাদেশ সরকার এবং বিশ্বব্যাংকের মধ্যে আজ ৩০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এ অর্থের পরিমাণ প্রায় ২ হাজার ৮৪১ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৯৪.৭০ টাকা ধরে)। বিশ্বব্যাংকের এ অর্থের মাধ্যমে শহরের স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে কোভিড-১৯ মহামারি এবং ভবিষ্যৎ ধাক্কা মোকাবিলায় সহায়তা করবে।

সংস্থাটি আরও জানায়, স্থানীয় সরকারের কোভিড-১৯ রেসপন্স এবং রিকভারি প্রকল্পে এ অর্থ ব্যয় হবে। এই প্রকল্পটির মাধ্যমে শহরাঞ্চলসহ আটটি বিভাগের মোট ৩৯.৯ মিলিয়ন জনগোষ্ঠী উপকৃত হবেন। এটি মহামারি থেকে পুনরুদ্ধার করা এবং জলবায়ু পরিবর্তন, দুর্যোগ এবং রোগের প্রাদুর্ভাবসহ ভবিষ্যতের সংকটগুলোর জন্য প্রস্তুতি নিতে সহায়তা করবে।

এছাড়া ৩২৯টি পৌরসভা এবং ১০টি সিটি কর্পোরেশনে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, দুর্যোগ এবং ভবিষ্যতের রোগের প্রাদুর্ভাবের প্রশমন ও সতর্কতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ নগর পরিষেবা এবং পরিকাঠামোর উন্নতির জন্য এ প্রকল্প থেকে দ্বি-বার্ষিক তহবিল পাবে বাংলাদেশ।

বিশ্বব্যাংকের স্পেশাল ড্রয়িং রাইটসের (এসডিআর) মুদ্রায় এ ঋণ গ্রহণ করা হবে এবং পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। তবে উত্তোলিত ঋণের ওপর বার্ষিক ০ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ এবং ১ দশমিক ২৫ শতাংশ হারে সুদ পরিশোধ করতে হবে। অনুত্তোলিত অর্থের ওপর বার্ষিক সর্বোচ্চ ০ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে কমিটমেন্ট ফি দেওয়ার বিধান থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বব্যাংক কমিটমেন্ট ফি দেওয়ার বিষয়টি মওকুফ করে আসছে।

বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, ‘বাংলাদেশ দ্রুত নগরায়ন হচ্ছে। জনসংখ্যার প্রায় ৩৬ শতাংশ শহরাঞ্চলে বসবাস করে। সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভাগুলো মহামারি থেকে শহুরে দরিদ্রদের পুনরুদ্ধার করার পাশাপাশি ভবিষ্যতের ধাক্কা সামলাতে প্রস্তুত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে প্রকল্পটি। এছাড়া প্রকল্পটি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে জলবায়ু-স্মার্ট নগরায়নের দিকে অগ্রসর হতে এবং ভবিষ্যতের ধাক্কায় স্থিতিস্থাপকতার জন্য প্রস্তুত করতে সঠিক ব্যবস্থা নিতে সাহায্য করবে।’

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান বলেন, দ্রুত এবং সক্রিয় পদক্ষেপের মাধ্যমে, বাংলাদেশ সরকার কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে। আমাদের এ কার্যক্রম প্রকল্পটির মাধ্যমে আরও সহায়তা করবে। এছাড়া শহুরে অঞ্চলগুলো ভবিষ্যতের যেকোনো ধাক্কা সামলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, উন্নত পরিষেবা এবং অবকাঠামোর মাধ্যমে শহুরে দরিদ্রদের উপকৃত করবে।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!