কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, এদেশের কৃষকরা এত ত্যাগী যে তারা বউয়ের গলার হার, কানের দুল বিক্রি করেও চাষাবাদ করে। তারা গরু ছাগল বিক্রি করে সার কিনে ফসল উৎপাদন করে। সারা দেশের মানুষেরই তো কষ্ট হচ্ছে। হয়ত মানুষ মনে করে গুলশান-বনানীর মানুষের আবার কী কষ্ট। বড় বড় শিল্পপতিদের কী কষ্ট। কিন্তু না। তাদের জন্যও ঝুঁকি আছে।
রবিবার (৭ আগস্ট) সকালে কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের চট্টগ্রাম , সিলেট ও কুমিল্লা অঞ্চলের কৃষি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কর্মশালায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ড. মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, উৎপাদনের ওপর জ্বালানি ও সারের দাম বৃদ্ধি প্রভাব ফেলবে না। যদিও কৃষকের লাভ কিছুটা কম হবে। তবে সামনে বোরো আবাদে কৃষকদের প্রণোদণার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। বৈশ্বিক সংকটের কারণেই এখন আমাদের সাবধান হতে হচ্ছে। তবে সাশ্রয়ী হলে এ সংকট সহজে মোকাবেলা করা সম্ভব হবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আগে সরিষার তেলই আমাদের প্রধান তেল জাতীয় ফসল ছিল। কারণ মানুষ এটাই খেতো। তখন কেউ পাম অয়েল, সয়াবিন তেল চিনতোও না। বর্তমানে আমাদের ৯০% ভোজ্যতেলের সরবরাহ বিদেশের ওপর নির্ভরশীল। প্রতি বছর আমরা ভোজ্যতেলের পেছনে দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি খরচ করি। আগামী তিন বছরের মধ্যে তেল জাতীয় ফসলের নির্ভরশীলতা ৫০%-এ নামিয়ে আনতে আমরা কর্মসূচি নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, কুমিল্লাসহ সারা দেশে ফসল উৎপাদন বাড়ছে। আমরা আন্তর্জাতিক বাজারে শাকসবজি রপ্তানি করার ব্যবস্থা নিয়েছি, যা আমাদের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করবে।