কঙ্গোতে ৩ শান্তিরক্ষীসহ নিহত অন্তত ১৫

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
2 মিনিটে পড়ুন

মধ্য আফ্রিকার দেশ ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে (ডিআর কঙ্গো) জাতিসংঘবিরোধী বিক্ষোভে কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) বিক্ষোভের দ্বিতীয় দিনে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে।

নিহত ১৫ জনের মধ্যে ১২ জন বেসামরিক নাগরিক এবং তিনজন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী। কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বুধবার (২৭ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

কঙ্গোতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনটি মনুস্কো নামে পরিচিত। জাতিসংঘের এই মিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সহিংসতার বিরুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। মূলত বছরের পর বছর ধরে চলে আসা এই সহিংসতার কারণে গত সোমবার দেশটিতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

এদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এই সহিংসতার নিন্দা করেছেন জানিয়ে জাতিসংঘের উপ-মুখপাত্র ফারহান হক এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘তিনি (আন্তেনিও গুতেরেস) জোর দিয়ে বলেছেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে পরিচালিত যেকোনো হামলা যুদ্ধাপরাধ বলে গণ্য হতে পারে। আর তাই কঙ্গো কর্তৃপক্ষকে এই ঘটনাগুলো তদন্ত করতে এবং দায়ীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তিনি।’

ফারহান হক নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের বলেন, সোমবার কঙ্গোর গোমা শহরে বিক্ষোভ শুরু হয় এবং মঙ্গলবার বুটেম্বোতে তা ছড়িয়ে পড়ে। এখানেই জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একজন সৈনিক এবং দু’জন জাতিসংঘ পুলিশকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

রয়টার্স বলছে, বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার পর উভয় শহরেই জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী সৈন্যদের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসামূলক হামলা করা হয়। এসময় শত শত বিক্ষোভকারী শান্তিরক্ষীদের ওপর ঢিল ও পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে। এছাড়া জাতিসংঘ ভবনে ভাংচুর এবং আগুনও দেয় বিক্ষোভকারীরা।

রয়টার্সের একজন প্রতিবেদক গোমায় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের গুলিতে দুই বিক্ষোভকারীকে নিহত হতে দেখেছেন। অবশ্য কঙ্গোর সরকারের মুখপাত্র প্যাট্রিক মুয়ায়া বলেছেন, বিক্ষোভে কমপক্ষে পাঁচজন নিহত এবং ৫০ জন আহত হয়েছেন।

বুটেম্বো শহরের পুলিশ প্রধান পল এনগোমা বলেছেন, বুটেম্বোতে অন্তত সাতজন বেসামরিক লোক নিহত এবং অজ্ঞাত সংখ্যক আহত হয়েছেন।

অবশ্য জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনগুলোর বিরুদ্ধে বছরের পর বছর ধরে নানা ধরনের অভিযোগে সামনে এসেছে। জাতিসংঘের উপ-মুখপাত্র ফারহান হক বলেছেন, ‘যদি কোনো আঘাত বা মৃত্যুর জন্য জাতিসংঘের বাহিনীর কোনো দায় থাকে, তাহলে অবশ্যই আমরা তা খতিয়ে দেখবো।’

তিনি বলেন, জাতিসংঘ বাহিনীকে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করতে এবং প্রয়োজনে শুধুমাত্র সতর্কতামূলক গুলি চালানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

বিষয়:
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!