রুশ-ইউক্রেন নৌবাহিনীর সংঘাত: কৃষ্ণসাগর উপকূলে ভেসে আসছে মৃত ডলফিন

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
2 মিনিটে পড়ুন

গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই কৃষ্ণসাগর উপকূলে ভেসে আসছে মৃত ডলফিন। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে বিজ্ঞানীরা ভেবেছিলেন, রুশ-ইউক্রেন নৌবাহিনীর সংঘাতে সমুদ্রের পানিতে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ও দূষণের কারণেই তারা মারা যাচ্ছে। কিন্তু ডলফিনের গণমৃত্যুর কারণ হিসেবে সামনে আসছে অন্য তত্ত্বও। কৃষ্ণসাগরে যেসব রুশ নৌঘাঁটি রয়েছে সেগুলোর পাহারাদার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডলফিনগুলোকে ইউক্রেন বাহিনী পরিকল্পিত ভাবে খুন করছে কিনা, সে প্রশ্ন উঠেছে।

এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহে ইউক্রেন সেনার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কৃষ্ণসাগরে মোতায়েন রুশ রণতরী মস্কোভার সলিল সমাধি ঘটেছিল। তারপরেই ক্রাইমিয়ার সেভাস্তিপোলসহ কৃষ্ণসাগরের কয়েকটি রুশ নৌঘাঁটির নিরাপত্তায় বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডলফিন বাহিনী নিয়োগ করেছিল মস্কো। গত দু’সপ্তাহে সেখানকার উপকূলবর্তী এলাকায় শতাধিক ডলফিনের দেহ দেখা গিয়েছে। যদিও তাদের দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন মেলেনি বলে তুরস্কের একটি গবেষণা সংস্থার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন।

সামরিক কাজে অতীতেও ডলফিনের ব্যবহার করেছে রাশিয়া। ২০১৮ সালে সিরিয়ার যুদ্ধের সময় টারটাস নৌঘাঁটিতে ডলফিন বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছিল। উপগ্রহচিত্রে সেই ছবি ধরাও পড়েছিল। বস্তুত, ষাটের দশকে সোভিয়েত জমানাতেই এই বুদ্ধিমান প্রাণীগুলোকে সামরিক কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়েছিল। ক্রাইমিয়ার সেভাস্তিপোলেই ছিল সেই প্রশিক্ষণকেন্দ্র।

শত্রুপক্ষের ডুবুরিকে চিহ্নিত করা বা সমুদ্রের নীচে বিস্ফোরক চিহ্নিত করা এবং তা উদ্ধার করে নিয়ে আসার কাজে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় ডলফিনগুলোকে। এমনকি, সমুদ্র্রের তলায় বিস্ফোরক বসানোর জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় তাদের।

২০১৪ পর্যন্ত ক্রাইমিয়া ছিল ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে। ফলে ডলফিন প্রশিক্ষণকেন্দ্রের কথা কিভের অজ্ঞাত নয়। গত সপ্তাহের গোড়া থেকে স্নেক আইল্যান্ডসহ কৃষ্ণসাগরের কয়েকটি রুশ নৌঘাঁটি দখলের জন্য অভিযান শুরু করেছে ভলোদিমির জেলেনস্কির অনুগত বাহিনী। ঘটনাচক্রে তখন থেকেই বাড়াতে শুরু করেছে ডলফিনের মৃত্যুর হার।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!