১০০ ফুটের এই গাড়িতে ছিল সুইমিং পুল, হেলিপ্যাড, গল্ফ কোর্স

সিদ্ধার্থ সিংহ
সিদ্ধার্থ সিংহ
2 মিনিটে পড়ুন

১৯৮৬ সালে বিশ্বের সব থেকে বড় গাড়ি হিসেবে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে জায়গা করে নেয় একটি লিমুজিন গাড়ি। সাধ করে গাড়িটির নাম রাখা হয়েছিল ‘দ্য আমেরিকান ড্রিম।’

সাধারণত একটি গাড়ি খুব বেশি হলে ফুট আস্টেক লম্বা হয়। কিন্তু এই গাড়িটি ছিল ১০০ ফুটের। মানে পর পর তেরো-চোদ্দোটি গাড়ি দাঁড়িলে যতটা হয়, তার সমান। এই গাড়িটির ডিজাইন করেছেন- জে ওরবার্গ। যিনি মূলত সিনেমার কাজে লাগে এমন গাড়ি তৈরি করার জন্যই বিখ্যাত। তাঁর ডিজাইনের এই গাড়িতে ছিল মোট ২৬টি চাকা। গাড়িটি দু’দিক থেকেই চালানো যেত। লোকাল ট্রেনের মতো। গাড়ির সামনে এবং পিছনে ছিল মোট ৮টি ইঞ্জিন।

একটা বিলাসবহুল হোটেলে যা যা থাকে, এই গাড়িতে তার সব ক’টাই ছিল। ছিল টিভি, ফ্রিজ, ফোন, এমনকী ইন্ডোর গেমসের ব্যবস্থাও। ছিল ছোটখাটো একটি গল্ফ খেলার জায়গাও। ছিল সুইমিং পুল থেকে হেলিপ্যাডও। এই গাড়িতে এক সঙ্গে ৭০ জন যেতে পারত।

এই গাড়িটি বেশ কয়েকটি সিনেমায় ব্যবহারও করা হয়েছে। তা ছাড়াও ব্যক্তিগত কারণে কেউ ভাড়া নিতে চাইলে এই গাড়িটিকে ভাড়াও দেওয়া হতো। সেই সময় লোক বুঝে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ২০০ ডলার করে ভাড়া নেওয়া হত।

এত কিছু থাকা সত্ত্বেও গাড়িটিকে কিন্তু বেশি দিন টিকিয়ে রাখা যায়নি। কারণ এর রক্ষণাবেক্ষণ এবং মেরামতির জন্য যে বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন ছিল তা কুলিয়ে ওঠা সম্ভব হচ্ছিল না।

২০১২ সালে এই গাড়ির চাকা চিরকালের জন্য থমকে যায়। চাকা এবং জানালা ছাড়া পুরো গাড়িটাই নষ্ট হয়ে যায়।

চোখ ধাঁধানো সেই গাড়িটিকে আবার আগের চেহারায় ফিরিয়ে আনার তোড়জোড় শুরু হয় ২০১৯ সালে। কিন্তু অতিমারির কারণে সেই কাজটি থমকে যায়। তবে সারা দুনিয়ার গাড়ি প্রেমীরা এখন আশা করছেন, খুব তাড়াতাড়িই এই গাড়িটিকে ফের প্রকাশ্য রাস্তায় ছুটতে দেখা যাবে।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
২০২০ সালে 'সাহিত্য সম্রাট' উপাধিতে সম্মানিত এবং ২০১২ সালে 'বঙ্গ শিরোমণি' সম্মানে ভূষিত সিদ্ধার্থ সিংহের জন্ম কলকাতায়। আনন্দবাজার পত্রিকার পশ্চিমবঙ্গ শিশু সাহিত্য সংসদ পুরস্কার, স্বর্ণকলম পুরস্কার, সময়ের শব্দ আন্তরিক কলম, শান্তিরত্ন পুরস্কার, কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত পুরস্কার, কাঞ্চন সাহিত্য পুরস্কার, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা লোক সাহিত্য পুরস্কার, প্রসাদ পুরস্কার, সামসুল হক পুরস্কার, সুচিত্রা ভট্টাচার্য স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার, অণু সাহিত্য পুরস্কার, কাস্তেকবি দিনেশ দাস স্মৃতি পুরস্কার, শিলালিপি সাহিত্য পুরস্কার, চেখ সাহিত্য পুরস্কার, মায়া সেন স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার ছাড়াও ছোট-বড় অজস্র পুরস্কার ও সম্মাননা। পেয়েছেন ১৪০৬ সালের 'শ্রেষ্ঠ কবি' এবং ১৪১৮ সালের 'শ্রেষ্ঠ গল্পকার'-এর শিরোপা সহ অসংখ্য পুরস্কার। এছাড়াও আনন্দ পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত তাঁর 'পঞ্চাশটি গল্প' গ্রন্থটির জন্য তাঁর নাম সম্প্রতি 'সৃজনী ভারত সাহিত্য পুরস্কার' প্রাপক হিসেবে ঘোষিত হয়েছে।
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!