এ কোন রাজ্যে বাস করছি আমরা!

সিদ্ধার্থ সিংহ
সিদ্ধার্থ সিংহ
2 মিনিটে পড়ুন
- লেখক সিদ্ধার্থ সিংহ

আমাদের এই রাজ্যে চাকরির বাজার কোন জায়গায় এসে পৌঁছেছে তা জানার জন্য সম্প্রতি একটি খবরে চোখ বোলালেই মালুম হবে।

কিছু দিন আগে এন আর এস মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল, ডোম পদে মোট ৬ জনকে নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে ওই পদে চাকরির জন্য আবেদন করেছেন আট হাজারেরও বেশি প্রার্থী।

আবেদনকারীদের মধ্যে রয়েছেন প্রায় ২২০০ জনের মতো স্নাতক ডিগ্রিধারী, রয়েছেন ৫০০-র কাছাকাছি স্নাতকোত্তর। এমনকি ডোম হতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন ১০০-রও বেশি ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করা ছাত্রছাত্রী।

তার মধ্য থেকে ঝাড়াই-বাছাই করে ডাকা হয়েছে ৭৮৪ জনকে। সেই ৭৮৪ জনের মধ্যে ৮৪ জন মহিলা। বাকিরা পুরুষ।

- বিজ্ঞাপন -

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ১ অগস্ট তাঁদের ইন্টারভিউ নেওয়া হবে। লিখিত পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে চাকরিতে বহাল করা হবে ৬ জনকে।

যে পদের নাম শুনলে এক সময় ছেলেমেয়েরা এক মাইল দূর থেকে হেঁটে যেত, সেই পদের একটা চাকরির জন্য একশোরও বেশি ইঞ্জিনিয়ার ডিগ্রিধারী আবেদন করেছেন!

অবশ্য আবেদন না করেইবা কী করবেন! গোটা রাজ্যে কোথাও কোনও শিল্প নেই। নতুন কোনও কল-কারখানাও তৈরি হচ্ছে না। শিল্পপতিরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন এই রাজ্য থেকে।

সেটা আরও প্রকট হয়ে উঠেছে এই মহামারির সময়ে। সরকারি চাকরি তো নেই-ই। সরকারি অফিস কাছারিতে এখন বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে।

নিয়োগ হলেও যে সেখানে নিয়মিত মাইনে পাচ্ছেন তাও নয়। এই তো দিন কতক আগে আর জি কর হাসপাতালের ৫৭৫ জন চুক্তিভিত্তিক সাফাইকর্মী পথে নেমেছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, তাঁরা ঠিক সময়ে তাঁদের মাইনে পাচ্ছেন না।

- বিজ্ঞাপন -

সে জন্য তাঁরা আর জি কর রোড অবরোধ করেন। তাঁদের অবরোধে প্রচণ্ড যানজটের সৃষ্টি হয়। স্বাভাবিক জীবন বিপর্যস্ত হয়। পরে তাঁরা হাসপাতাল চত্বরে ঢুকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।

তাঁরা দাবি করেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বারবার অভিযোগ জানিয়েও কোনও সাড়া পাননি। এর পরেও যদি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁদের কথা বিবেচনা না করেন তা হলে আরও বড় আন্দোলনে তাঁরা শামিল হবেন।

আর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন, ওরা আমাদের স্টাফ নয়, ওরা যে বেসরকারি সংস্থার কর্মী তাঁদের সঙ্গেই ওঁদের বুঝে নিতে হবে।

- বিজ্ঞাপন -

এ কোন রাজ্যে বাস করছি আমরা!

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
২০২০ সালে 'সাহিত্য সম্রাট' উপাধিতে সম্মানিত এবং ২০১২ সালে 'বঙ্গ শিরোমণি' সম্মানে ভূষিত সিদ্ধার্থ সিংহের জন্ম কলকাতায়। আনন্দবাজার পত্রিকার পশ্চিমবঙ্গ শিশু সাহিত্য সংসদ পুরস্কার, স্বর্ণকলম পুরস্কার, সময়ের শব্দ আন্তরিক কলম, শান্তিরত্ন পুরস্কার, কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত পুরস্কার, কাঞ্চন সাহিত্য পুরস্কার, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা লোক সাহিত্য পুরস্কার, প্রসাদ পুরস্কার, সামসুল হক পুরস্কার, সুচিত্রা ভট্টাচার্য স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার, অণু সাহিত্য পুরস্কার, কাস্তেকবি দিনেশ দাস স্মৃতি পুরস্কার, শিলালিপি সাহিত্য পুরস্কার, চেখ সাহিত্য পুরস্কার, মায়া সেন স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার ছাড়াও ছোট-বড় অজস্র পুরস্কার ও সম্মাননা। পেয়েছেন ১৪০৬ সালের 'শ্রেষ্ঠ কবি' এবং ১৪১৮ সালের 'শ্রেষ্ঠ গল্পকার'-এর শিরোপা সহ অসংখ্য পুরস্কার। এছাড়াও আনন্দ পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত তাঁর 'পঞ্চাশটি গল্প' গ্রন্থটির জন্য তাঁর নাম সম্প্রতি 'সৃজনী ভারত সাহিত্য পুরস্কার' প্রাপক হিসেবে ঘোষিত হয়েছে।
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

একটি অ্যাকাউন্ট নেই? নিবন্ধন করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!