হিটলার আর নেতানিয়াহুর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই: এরদোয়ান
ফিলিস্তিনের গাজায় নির্বিচারে হামলার ঘটনায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর তীব্র সমালোচনা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ান। বলেছেন, নেতানিয়াহু আর জার্মানির নাৎসি নেতা অ্যাডলফ হিটলারের মধ্যে কোনও তফাৎ নেই।
গাজায় ইসরায়েলের হামলাকে ইহুদিদের বিরুদ্ধে নাৎসি আচরণের সঙ্গে তুলনা করেছেন তিনি।
![হিটলার আর নেতানিয়াহুর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই: এরদোয়ান 38 গাজায় আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি হামলা, শিশুসহ নিহত ২৯](http://www.samoyiki.com/wp-content/uploads/2023/12/Untitled-4-14.jpg)
পশ্চিমা সামরিক জোট নেটো সদস্য তুরস্ক ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকটের দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান সমর্থন করে। অক্টোবরে গাজায় শুরু হওয়া ইসরায়েলের বিমান ও স্থল হামলার সমালোচনা করছে দেশটি। একই সঙ্গে ইসরায়েলকে ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’ তকমা দিয়ে তুরস্ক বলেছে, ইসরায়েলি নেতাদের অবশ্যই আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার করা উচিত।
এরদোয়ান বলেন, গাজা সংঘাত নিয়ে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির জন্য নিপীড়নের শিকার হওয়া শিক্ষাবিদ এবং বিজ্ঞানীদের তুরস্ক স্বাগত জানাবে। ইসরায়েলের গাজা হামলায় সমর্থন দেওয়া পশ্চিমা দেশগুলোও যুদ্ধাপরাধে সামিল হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘‘তারা হিটলারকে নিয়ে খারাপ কথা বলত। হিটলারের সঙ্গে আপনার পার্থক্যটা কী? এই নেতানিয়াহু কি হিটলারের চেয়ে কম কিছু করছেন? না কম করেননি।
‘‘তিনি হিটলারের চেয়েও সমৃদ্ধ। তিনি পশ্চিমাদের সমর্থন পান। সব ধরনের সহায়তা আসে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে। এই সমর্থন দিয়ে তারা কী করেছে? ২০ হাজারের বেশি গাজাবাসীকে হত্যা করেছে।”
![হিটলার আর নেতানিয়াহুর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই: এরদোয়ান 39 বন্দিদের মুক্তি না দিলে যুদ্ধবিরতি নয়: নেতানিয়াহু](http://www.samoyiki.com/wp-content/uploads/2022/11/israyel-neta.jpg)
এরদোয়ানের এই মন্তব্য নিয়ে ইসরায়েল কোনও মন্তব্য করেনি। আর তার এই সমালোচনার পরও ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রক্ষা করে আসছে তুরস্ক। দেশটির বিরোধীদলগুলোসহ ইরানও এই সম্পর্কের নিন্দা জানিয়ে আসছে।
তবে আঙ্কারা বলছে, ৭ অক্টোবরে গাজা-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য একলাফে অনেকটাই কমে গেছে।
![হিটলার আর নেতানিয়াহুর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই: এরদোয়ান 40 গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৮ হাজার ৮০০ জনে](http://www.samoyiki.com/wp-content/uploads/2023/11/Untitled-7-6.jpg)
অক্টোবরের ওই দিনে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ঢুকে ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলায় ১২০০ জন নিহত এবং ২৪০ জন জিম্মি হওয়ার পর থেকে দু’পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়, যা দুই মাস পেরিয়ে এখনও চলছে।
ইসরায়েলি বাহিনীর স্থল ও বিমান হামলায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গাজা। হাজার হাজার পরিবার বাড়িঘরছাড়া হয়ে আশ্রয় নিয়েছে বিভিন্ন স্কুল, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালে।